পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্ত্রের সাক্ষ্য । - حص__DOC كصـ আমাদের দেশের প্রাচীন পুরাণাদি গ্রন্থে যে সকল পারমার্থিক বিষয়ের উপদেশ আছে, তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, কোনও একজন ঋষি ঐ সকল উপদেশের বক্তা ; তিনি ব্যাসের নিকট শুনিয়াছেন ; ব্যাস নারদের প্ৰমুখাৎ পাইয়াছেন ; নারদ স্বয়ং ব্ৰহ্মার নিকট শুনিয়াছেন । এইরূপে অধিকাংশ উপদেশরই মূল বক্তা। ব্ৰহ্মা। বেদ ব্ৰহ্মার মুখবিনিঃস্থত বাণী। এরূপ বিশ্বাস যে কেবল এদেশেই আছে, তাহা নহে, অপরাপর সম্প্রদায় মধ্যেও এই প্ৰকার বিশ্বাস দেখিতে পাওয়া যায় ; য়িহুদীরা বিশ্বাস করেন যে, তাহারা যে ধৰ্ম্ম নিয়মের অধীন তঁহাদের আদি পুরুষ মুষা তাহা স্বয়ং ভগবানের মুখে শুনিয়াছিলেন। ইসলামধৰ্ম্মাবলম্বিগণ বিশ্বাস করেন, যে কোরাণের সুরা সকল স্বয়ং ভগবান হইতে অবতীর্ণ হইয়াছে । জরথম্বু বলিয়াছেন, যে আহুর মাজদা তাহার নিকট ধৰ্ম্মতত্ত্ব সকল প্ৰকাশ করিয়াছেন। এইরূপে সৰ্ব্ব দেশে ও সকল জাতি মধ্যে এই বিশ্বাস দেখা যাইতেছে যে, স্বয়ং সৃষ্টিকৰ্ত্তাই ধৰ্ম্মতত্ত্বের চরম উৎপত্তি স্থান ; এবং তিনিই তাহ সাধুদিগের নিকট অভিব্যক্তি করিয়াছেন । এ কথা কি সত্য নহে ? জগতের সকল তাপের উৎপত্তি স্থান