পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Ro 8 क्षश्éन् । তাহার প্রয়োজনের দ্বারা নিম্নতরটিকে নিয়মিত করিতে হয় । জীবনের প্রয়োজনানুসারে জড়, চৈতন্যের প্রয়োজন অনুসারে জীবন, ও ধৰ্ম্মবুদ্ধির প্রয়োজনানুসারে চৈতন্যকে রাখিতে হয়। সেইরূপ পারমার্থিকের প্রয়োজন দ্বারা লৌকিককে নিয়মিত করিতে হয়, সুতরাং পারমার্থিক উচ্চ ও লৌকিক নিম্ন । মানব-বুদ্ধিতে এই স্বাভাবিক সংস্কার প্রবল থাকাতে, যুগে যুগে মানব-মণ্ডলী লৌকিক জ্ঞানের উপরে পারমার্থিক জ্ঞানকে শ্ৰেষ্ঠ স্থান দিয়াছে। শেষোক্তটাকে ঈশ্বরের বিশেষ দান বলিয়া গ্ৰহণ করিয়া অপরটাকে উপেক্ষা করিয়াছে। এখন প্রশ্ন এই, পারমার্থিক জ্ঞান কিরূপে মানবের নিকট অভিব্যক্তি হইল ? বর্তমান সময়ে জ্ঞান ও শিক্ষার বিস্তার হওয়াতে একটি মহা ইষ্টজনক ঘটনা সংঘটিত হইয়াছে।। জগতের প্রধান প্ৰধান ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ধৰ্ম্ম গ্ৰন্থ সকল ভাষান্তরিত হইয়া সৰ্ব্বসাধারণের হস্তে পড়িয়াছে। এই সকল গ্রন্থের তুলনা ও বিচার দ্বারা একটী মহাসত্য দিন দিন মানুষের মনকে অধিকার করিতেছে। সেটী, এই, পণ্ডিতেরা ধরা পৃষ্ঠকে যেমন গ্রীষ্ম মণ্ডল, নাতিশীতোষ্ণ-মণ্ডল, হিম-মণ্ডল প্ৰভৃতি নানা মগুলো বিভাগ করিয়াছেন, এবং এক এক মণ্ডলে যেমন বিশেষ বিশেষ উদ্ভিদ ও প্ৰাণী দেখিতে পাওয়া যায়, সেই মণ্ডলের মধ্যে ভারতবর্সেই অন্বেষণ কর, আর আমেরিকাতেই অন্বেষণ কর, যেমন অনেক সময়ে এক এক বিশেষ জাতীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী পাইবে, সেইরূপ মানবের ধৰ্ম্ম-চিন্তাতেও যেন