পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t II aero পদাৰ্থ আলোক ও চক্ষের দৃষ্টি শক্তি, এই ত্রিনের সংযোগে দর্শন জ্ঞান হয়, ইহার কোনটাই আমাদের কৃত নহে, অামাদের ইচ্ছাধীন নহে। তৎপরে আমাদের মন এক কাৰ্য্য করে, দৃস্ট পদার্থ সকলকে তুলনা করিয়া সাদৃশ্য নিরূপণ করে, ও তাঁহাদিগকে জাতিতে বিভক্ত করে, সেটাও মনের প্রকৃতিসিদ্ধ, আমদের ইচ্ছাধীন নহে। দুইটী মাত্ৰ কাৰ্য্য আমাদের ইচ্ছাধীন । পূর্ব সঞ্চিত জ্ঞানের সমাবেশে জ্ঞানান্তরে প্রবিষ্ট হওয়া, এবং পূর্ব সঞ্চিত জ্ঞানকে কাৰ্য্যে নিয়োগ করা । অতএব দেখ, লৌকিক কি পরমার্থিক কোনও জ্ঞানই আমাদের কৃত নহে, সকলেরই উৎপত্তি স্থান সেই পরমাত্মা । কিন্তু লৌকিক ও পারমার্থিক জ্ঞান, এই উভয়ের মধ্যে মানুষ চিরদিনই একটা প্ৰভেদ করিয়া আসিতেছে। বলিতে গেলে জ্ঞানের মধ্যে আবার প্রভোক কি ? সকল জ্ঞানই পবিত্র, সকল জ্ঞানই পরমাত্ম-জাত ও জীবের কল্যাণোদেশে বিস্থািট । তবে যে জ্ঞান কেবল এই দেহ-রাজ্যে আবদ্ধ ও দৈহিক-সদ্বন্ধসংস্থষ্ট এবং এই ভৌতিক জগতের সীমার মধ্যেই নিয়মিত, তাহা অপেক্ষা যে জ্ঞান দেশ কালাতীত ও সেই অক্ষর অবিনাশী পুরুষের সহিত সংসৃষ্ট, তাহা যে মহত্তর তাঁহাতে আর সন্দেহু কি ? জগতের বিবৰ্ত্তন প্রক্রিয়ার পর্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাই, যে জড়ের পর উদ্ভিদ, উদ্ভিদের পর জীব, জীবের পর চৈতন্য, চৈতন্থের পর ধৰ্ম্মবুদ্ধি, এইরূপ যতই আমরা উচ্চতৱ মঞ্চে আরোহণ করি, ততই দেখিতে পাই, যে যেটী উচ্চতর