পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Dodoo ধৰ্ম্মজীবন । বায় ; তন্মধ্যে আত্মার প্রমাণ কোথাও নাই । আর ইহাও যুক্তিযুক্ত কথা যে পদার্থ-বিদ্যার প্রধান আলোচ্য জড় পদার্থের গুণ ও ধৰ্ম্ম ; সুতরাং তন্মধ্যে আত্মার উদ্দেশ পাওয়া যায় না । কিন্তু বর্তমান সময়ে পদার্থ-বিদ্যার অতিরিক্ত আদর এবং মনোবিজ্ঞান ও আত্ম-বিজ্ঞানের অনাদর হওয়াতে মানুষ আত্ম-তত্ত্বের প্রতি অন্ধ হইয়া যাইতেছে। কেহ কেহ এই ভাব এতদূর লইয়া গিয়াছেন, যে বলিয়াছেন জড়ের অতিরিক্ত আত্মা বলিয়া কিছুই নাই ! জড়ীয় পরমাণু ও গতি এই উভয় হইতেই এই বিশ্ব-প্ৰপঞ্চ উৎপন্ন হইয়াছে। গতি কোথা হইতে আসিল ? সে প্রশ্ন ছাড়িয়া দিয়াও যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, জড়ীয় পরমাণু ও গতি উভরের ক্রীড়া ক্ষেত্রে চৈতন্য কোথা হইতে আবিভূতি হইল ? তাহা হইলে ইহারা বলিবেন, গতি ও তাপ প্ৰভৃতির ন্যায়। চৈতন্যকেও জড়ের এক প্রকার ধৰ্ম্ম ভাবিলেই হয়। এরূপে জড় ও চেতনের প্রভেদ ঘুচাইয়া দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত সে বিচারে প্রবৃত্ত না হইয়া এই মাত্র বলা যাইতে পারে যে, যত দিন তাহারা জড় হইতে গতি ও তাপ প্রভূতির ন্যায় চৈতন্যকেও উৎপন্ন করিতে না পারিতেছেন, তত দিন চৈতন্য যে জড়ের ধৰ্ম্ম, তাহা বলিবার অধিকার নাই । যাহা হউক বৰ্তমান বিজ্ঞান-সম্মত জ্ঞানের প্রকৃতি এই যে, ইহা আত্মাকে অস্বীকার করিয়া ও বিস্মৃত হইয়া কাৰ্য্য করে। তৎপরে এই জ্ঞানের গতিও পদার্থ-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠতা - KEBB BB S DDB BDDD LHDD DBD BDBB DDB