পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকৃত আধ্যাত্মিকতার লক্ষণ কি ? RS প্ৰতি ইহার অনাস্থা ও পদার্থ সকলের গুণাবলীর পরীক্ষার দিকেই সম্পূর্ণ আস্থা । বর্তমান সভ্যতার জ্ঞান যেমন আত্ম-জ্ঞান-বিহীন, ইহার সমুদয় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রকৃতিও তেমনি মূলে দৈহিক-সুখ-লালসা-সন্ততি । সভ্যজগতের মানুষ মানবজীবনকে ভোগ-সামগ্রীর দ্বারাই বিচার করে ; অর্থাৎ ভোগ-সামগ্ৰী যাহার যত অধিক তাহার জীবন তত সার্থক। তুমি যদি বসিবার জন্য ইজী চেয়ারখানি না পাইলে, তোমার বৈঠক ঘরটি যদি প্ৰচলিত রীতির অনুসারে সাজাইতে না পারিলে, তোমার দ্বারে যদি জাপানিজ পরিদা ঝালাইতে না পারিলে, গৃহের প্রাচীরে ভাল ভাল ছবি যদি না দিতে পারিলে, সিংহলের শাম্বুক, আরবের প্রবাল, হাতীর র্দাতের পাখা, জাপানের ইড়ি, যদি সংগ্ৰহ করিতে না পারিলে, তবে তোমার জীবন সার্থক হইল না, তাহ ঘোর দুঃখময় রহিল । এ জগতে জন্মিয়া যতটা দৈহিক সুখভোগ করিতে পারা যায়, করিতে হইবে ; তাহার ব্যাঘাত হওয়াই সর্বপ্ৰধান দুঃখ । সুখভোগের সামগ্রীর দ্বারা জীবনকে বিচার করে বলিয়াই বর্তমান সভ্যতাতে মানবের চক্ষে দুইটী মহা দুঃখ, সে দুটা দরিদ্রতা ও ব্যাধি । এই দুইটী নিবারণের জন্য যত প্ৰয়াস, পাপ ও দুর্ণীতি নিবারণের জন্য সে প্ৰয়াস নাই । সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী পাপে ডুবিতেছে সে জন্য তত দুঃখ নাই ; কিন্তু লণ্ডন সহরের ন্যায় অনেক মহা নগরের বহুসংখ্যক নরনারীকে কখনও