পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ARe क्षीचौदन সর্বেসর্ব করে এবং দৈহিক সুখের প্রতিই ইহার প্রধান দৃষ্টি। এই এক প্রকার ভাবের আতিশয্য ; আবার কয়েক শতাব্দী পুর্বের ইউরোপের প্রতি ও এ দেশের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে আর এক প্ৰকার ভাবের অতিশয্য লক্ষ্য করি । এক ভাবে যেমন দেহই সার এবং দৈহিক সুখই চরম লক্ষ্য, অপর ভাবে তেমনি আত্মাই সার এবং আত্মার সুখই চরম লক্ষ্য । জগতের প্রাচীন কালের প্রায় সমুদয় ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ই আধ্যাত্মিকতার আতিশয্যের উপরে আপনাদের সাধনের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন । প্ৰাচীন হিন্দুধৰ্ম্ম বলিতেন-“এ দেহ ত অনিত্য, কৃমি ক্লেদপূর্ণ ও জ্বারা মরণ-প্ৰপীড়িত, এ সংসার ত কারাবাস, হে জীব, আর কতকাল এই মোহজালে জড়িত থাকিবে ? বৈরাগ্যকে আশ্রয় কর, অনিত্য দেহ ও মায়াময় সংসার উভয়কে ঘুণা করিতে শিখ।” প্ৰাচীন বৌদ্ধধৰ্ম্ম বলিতেন, “এক কৰ্ম্মের জালে জড়িত হইয়া ত ভবদুঃখ সহিলে, হে জীব, দ্বিতীয় কৰ্ম্মের জাল আর কেন বয়ন করা ? সংসারত্যাগী হইয়া ভিক্ষুব্রত গ্ৰহণ কর, এবং নির্বাণ মুক্তিলাভ কর” প্রাচীন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম বলিতেন—“আত্মাই ঈশ্বরের প্ৰিয় আবাস স্থান, দেহ শয়তানের কারখানা বাড়ী, দেহকে যতই নিগ্ৰহ করিবে, ততই ঈশ্বরের প্রসন্নতা লাভ করিতে পরিবে । আত্ম-নিগ্রহের অর্থ dाश्-क्रि७2श् ।' এই দুই আতিশয্যের মধ্যে প্ৰকৃত আধ্যাত্মিকতা বাস করে। ইহাতে একদিকে যেমন দৈহিক-সুখ-তৎপরতা নাই, অপর