পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকৃত আধ্যাত্মিকতার লক্ষণ কি ? Y দিকে তেমনি বৈরাগ্যের জন্য বৈরাগ্য নাই, অকারণ দেহ-নিগ্ৰহ নাই । আত্মাতেই ইহার উৎস বটে, কিন্তু দেহকে ও ইহা নিজের উন্নতির সহায় করিয়া লয়। প্ৰকৃত আধ্যাত্মিকতা বলে ভোগ সামগ্রীর দ্বারা জীবনের বিচার নহে; কিন্তু জীবনের পূর্ণতা ও বিশালতার দ্বারাই জীবনের বিচার । ভোগের সামগ্রীর দ্বারা যদি জীবনের কৃতাৰ্থতার বিচার করিতে হয়, তবে মহাত্মা বুদ্ধের ন্যায় অকৃতকার্স্য জীবন কাহারও হয় নাই । কারণ তিনি ভোগসুখ পায়ে ঠেলিয়াছিলেন ; যীশুর ন্যায় কাহারও জীবন বৃথা৷ যায় নাই, কারণ তাহার মন্তক রাখিবার স্থান ছিল না ; মহম্মদের ন্যায় কৃপাপাত্ৰ আর জন্মে নাই, কারণ র্তাহার মৃত্যু কালে একটা বদনা, একটা মাদুর ও সামান্য দশ পািনর টাকার সম্পত্তির অধিক রাখিয়া যান নাই । বরং একথা বলা যাইতে পারে যে সুখভোগের সামগ্রীর দ্বারা জীবনকে বিছার করিবার দিকে যার যত দৃষ্টি, আধ্যাত্মিক জগতে, অমর জগতে, সে তত নিম্ন স্থান অধিকার করিবে। আর জীবনের পুর্ণতা ও বিশালতার দিকে যার যত দৃষ্টি সে তত প্রকৃত জীবন পাইবে ও উচ্ছ স্থান অধিকার করিবে । কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, জীবনের পুর্ণতা ও বিশালত কাহাকে বলে? জল লইয়াই নদী, জল আসিলেই নদীর পূর্ণতা ও বিশালতা হয়, সেইরূপ জ্ঞান, প্ৰেম, পবিত্ৰতাদি লইয়াই মানবের আধ্যাত্মিক জীবন, জ্ঞান, প্ৰেম, পত্রিতার দ্বারাই সেই জীবনের পুর্ণতা