পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RWO y9 ধৰ্ম্মজীবন ৷ বলি য়া ; তেমনি যদি জিজ্ঞাসা করি, মানবে ত হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্ৰীকাতরতা, স্বসুখ-প্ৰিয়তা প্ৰভৃতি আছে, তবে জনসমাজ উচ্ছিন্ন হয় না কেন ? ইহার উত্তরে ঋষি দিগের সহিত একবাক্য হইয়া কি বলিতে পার না, সসেতুবিধুতিরে ষাং লোকানামসন্তেদায়। তিনিই সেতু-স্বরূপ হইয়া এই সকল লোককে ছিন্ন ভিন্ন হইতে দিতেছেন না । যাহার যাহা প্ৰকৃতি সে তাহাকে প্ৰকাশ করিবেই করিবে । বোলতাগুলি তোমার গৃহের কোণে চাক বাধিতেছে, চাকখানি ভাঙ্গিয়া দিলে কয়েকদিন পরে দেখিতে পাইবে যে ঘরের আর এক কোণে ঠিক তদনুরূপ আর এক খানি চাক বধিতেছে । প্ৰকৃতি জীবকে ছাড়িয়াও ছাড়ে না । জানি ও ধৰ্ম্মটা ও এইরূপ মানুষের প্রকৃতির অন্তর্নিহিত । ধৰ্ম্মকে এক আকারে ভাঙ্গিয়া দেও, ইহা অার এক আকারে আপনাকে গড়িয়া তুলিবেই তুলিবে । মানবের উপরে ধৰ্ম্মের ও ধাৰ্ম্মিকদিগের যে এত শক্তি তাহার কারণ ও এই প্ৰকৃতিগত পারমার্থিকতা । প্ৰকৃতিতে যাহা নাই, মনের উপরে তাহার আকনণ ও নাই ! একখানি সুন্দর ছবি একজন মানুষের হাতে দে ও সে অবাক হইয়া দেখিবো ; একটা বানরের হাতে দেও, ভাঙ্গিয়৷ চুরমার করিবে ; কারণ তাহার প্রকৃতিতে সৌন্দৰ্য গ্রহণের শক্তি নাই । মানব মনের উপরে সুন্দর ছবির যে শক্তি তাহার কারণ মানব-প্রকৃতিনিহিত । সেইরূপ মানবহৃদয়ের উপরে সাধুদের যে এত প্রভাব, নীতির যে এত প্রভাব,