পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'टाअत ७ g2ख्त । R 68) চাহিয়া ইহার আচরণ করবে। কিন্তু পুর্বাপর পাঠ করিলে, এবং কৰ্ম্ম শব্দে গীতাকার কি বুঝিতেছেন তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে, সে আপত্তি আর বড় প্ৰবল বলিয়া মনে হয় না । এক সময়ে এদেশে বেদান্ত ধৰ্ম্ম ও অদ্বৈতবাদ প্রচার হইয়া লোকের মনে সন্ন্যাসের ভাবটা অতিশয় প্রবল হইয়াছিল । তখন জ্ঞানী মাত্ৰেই কৰ্ম্মবিমুখ হইয়া অর্থাৎ গৃহধৰ্ম্ম ও যাগযজ্ঞাদি কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া, সন্ন্যাস অবলম্বন করিতেন। এই বিষয় লইয়া দুই শ্রেণীর লোকের মধ্যে ঘোরতর বাগযুদ্ধ উপস্থিত হইয়াছিল। একদিকে পৌরাণিক ও তান্ত্রিকগণ যাগযজ্ঞাদি ক্রিয়ার অনুষ্ঠানের উপরে অতিরিক্ত মাত্রায় ঝোক দিতেন ; অপরদিকে বৈদাস্তিকগণ কৰ্ম্মত্যাগ ও সন্ন্যাসকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া ঘোষণা করিতেন । এই উভয় শ্রেণীর সামঞ্জস্য বিধানের উদ্দেশেই গীত-গ্ৰন্থ রচিত হইয়াছিল । গীতাকার একদিকে বলিতেছেন ;- “যশ্চাত্মরতিরেব স্যাদাত্মভূতশৰ্চ মানবঃ । আত্মন্তেব্য চ সস্তুস্টস্তস্য কাৰ্য্যং ন বিদ্যতে ৷ অর্থ-যাহার আত্মাতেই রতি, যিনি আত্মস্বরূপে অবস্থিভ হইয়াছেন, এবং যিনি আত্মজ্ঞানেই পরিতৃপ্ত হইয়াছেন, সে মানুষের কৰ্ম্ম নাই। আবার কিঞ্চিৎ পরেই বলিতেছেন ঃ “কৰ্ম্মণৈব হি সংসিদ্ধিমাস্থিত জনকাদয়ঃ । লোক-সংগ্ৰহমেবাপি সংপশ্যন কর্তুমৰ্হসি ৷” Na )