পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মই মানব-জীবনের সূত্র । R & & নহে ; লৌকিক ক্রিয়া কলাপের অসারতা অনুভব করিয়া তাহার প্রতি ভ্ৰকুটী করিতে ও ক্ৰটী করেন নাই। অথচ ইহঁরাই কাৰ্য্য কালে সাধারণ প্ৰজাপুঞ্জের অবলম্বিত ক্রিয়া কলাপের অনুষ্ঠান করিতেন । তাহদের অবলম্বিত উদার মত কেবল জ্ঞানীরাজ্যেই বদ্ধ থাকিত । ইহার ভিতর প্রবেশ করিলে দেখা যায়৷ ইহঁরা ধৰ্ম্মকে কেবল তত্ত্ববিদ্যার চক্ষেই দেখিতেন ; মনে করিতেন, ধৰ্ম্মের গুঢ়তত্ত্ব কেবল জ্ঞানিগণের জন্যই, সাধারণ অজ্ঞ মানবে যাহার আচরণ করিতেছে, তাহার উপরে হস্তাপণ করিবার প্রয়োজন নাই । জ্ঞানের চরিতার্থতাই তত্ত্ববিদ্যার উদ্দেশ্য, মানুষের কার্স্যের সহিত তাহার সংস্রাব नांदे । এখনও অনেক জ্ঞানী মানুষ কেবল তত্ত্ববিদ্যার চক্ষেই ধৰ্ম্মকে দেখিয়া থাকেন । কোনও বিশেষ মতের সহিত যে তাহাদের জীবনের ও কার্যের কোনও সংশ্রাব আছে তাহা নহে, কিন্তু কোন মতটা সুযুক্তি ও বিচারসঙ্গত তাহা নিরূপণ করাই উদ্দেশ্য । তাহারা ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় প্ৰত্যেক প্ৰশ্নকে বিশ্লেষণ করিয়া মনোবিজ্ঞানের প্রশ্নে পরিণত করেন ও তদনুসারে বিচার করিয়া থাকেন ; এবং সেই বিচার দ্বারাই পরিতৃপ্তি লাভ করেন । ইহার অতিরিক্ত আর কিছু অন্বেষণ করেন না ; সে জন্য প্ৰয়াসীও নহেন । ইহা হইল। ধৰ্ম্মকে তত্ত্ববিদ্যার চক্ষে দেখা । ধৰ্ম্মকে মানুষ আর এক ভাবে দেখিতে পারে, তাহা