পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RCV) ধৰ্ম্মজীবন । ইতিবৃত্তের চক্ষে দেখা । মনে কর একজন পুরাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত মানবের সভ্যতার উন্নতির ক্রম নিৰ্দ্ধারণা করিতে ৰসিয়াছেন। কিরূপে আদিম বর্বর মানব-সমাজে বাণিজ্য বিকাশ পাইল ? কিরূপে রাজশাসনের সৃষ্টি হইল ? কিরূপে প্ৰণয় পরিণয়াদির বিকাশ হইল ? কিরূপে আইন আদালত দেখা দিল ? এই সমুদয়ের বিকাশ ও উন্নতির প্রণালী নিরূপণ করিতেছেন । সেই সঙ্গে ধৰ্ম্মটা কি ? ইহা কিরূপে মানব-চিত্তে ফুটিল ও মানব সমাজকে অধিকার করিলা ? তাহাও নিরূপণ করিবার চেষ্টা করিতেছেন । নিজের স্বপ্নের বিষয় চিন্তা করিয়া দেহাতীত আত্মাতে বিশ্বাস, তৎপরে প্ৰেতিযোনিতে বিশ্বাস, তৎপরে পিতৃপুরুষ পূজা, তৎপরে দেব দেবী পুজা, তৎপরে একেশ্বরবাদ, এইরূপে কি ফুটিল ? কিংবা প্ৰাকৃতিক শক্তি সকলে চৈতন্যের আরোপ, তৎপরে প্রাকৃতিক শক্তিপূজা, তৎপরে একেশ্বরবাদ, এই প্ৰণালীতে কি ফুটিল ?—এই প্রশ্নদ্বয়ের বিচার করিতেছেন। এই কল্পিত প্ৰত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতকে সকল দেশের সকল জাতির প্রচলিত ধৰ্ম্মবিশ্বাস পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে হইতেছে ; সকল ক্রিয়া কলাপকে বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে হইতেছে ; সকল সাধুর সকল সদুপদেশ মনোযোগ পূর্বক পাঠ করিতে হইতেছে ; অথচ কিছুই তঁাহার হৃদয়কে স্পর্শ করিতেছে না । কোনও উপদেশ যে তাহাকে কাৰ্য্যে অবলম্বন করিতে হইবে সে চিন্তাও তাহার মনে নাই ; বরং হয়ত তিনি নিজে ঘোর সংশয়ী, তিনি ঐ সমুদায় সাধু মহাজনকে একদেশদর্শী বাতুল