পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rob o १ीeछौरका । ফুটিয়া প্ৰতিদিন দেড়মণ পাথর বহিয়া দেয় না ? সেইরূপ মানুষ যদি জানে যে ধৰ্ম্মের বাহিরের নিয়ম সকল পালন করিলে আর সংসারপাশে বদ্ধ থাকিতে হইবে না, তাহা হইলে কি মরিয়া কুটিয়া সে সকল নিয়ম পালন করে না ? সকল দেশের সকল সম্প্রদায়ের সাধারণ লোকে প্ৰতিদিন তাহাই করিতেছে। এক অর্থে ধৰ্ম্ম একটা শাসন তাহাতে সন্দেহ নাই। সাধুগণ সেই ভাবেই ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিয়াছিলেন ও ইহাকে প্রচার করিয়াছিলেন। তাহারা জ্ঞানদৃষ্টি দ্বারা দেখিয়াছিলেন যে মানুষ এসংসারে সচরাচর যে সকল প্ৰবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়া কাষ্য করিতেছে, তাহার উপরে অলক্ষিত ভাবে একটা শাসন বিদ্যমান রহিয়াছে, এবং অনিবায্যেরূপে নিরন্তর মানবকে দণ্ড পুরস্কার দিতেছে। সেই শাসনের অধীন হওয়াই ধৰ্ম্ম । সেই গৃঢ় আধ্যাত্মিক শাসনের দ্বারা মানবের উদ্দাম প্রবৃত্তিকুলকে ও আশাসিত কায্য সকলকে নিয়মিত করিতে হইবে । ইহাই র্তাহাদের ধৰ্ম্ম প্রচারের উদ্দেশ্য । এই অর্থে ধৰ্ম্ম আর কিছুই নহে, মূলে আত্ম-সংযম, পশুজীবন হইতে দেবাজীবনের দিকে 5f) | কিন্তু আমি অগ্ৰে যে শাসনের কথা বলিয়াছি, তাহা এই আধ্যাত্মিক সূক্ষম ও অতীন্দ্ৰিয় শাসনকে মনে করিয়া বলি নাই, তাহা বাহু ক্রিয়া ও নিয়মের দুরন্ত পোষণ । যাহার ধৰ্ম্মের আধ্যাত্মিক ভাব গ্ৰহণের সাধ্য নাই, তাহার পক্ষে এই বাহ ক্রিয়ার পোষণ ও ভাল তাহাতে সন্দেহ নাই ; কারণ কেবল