পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের সুত্ৰ । R 0 চনা করিয়াছি, যদি ছবি দেখার ন্যায় আলোচনা না করিতাম তাহা হইলে আমাদের এ দুৰ্দশা থাকিত না । সাধুচরিতকে শিল্পের চক্ষে দেখার ন্যায় ধৰ্ম্মের কোমল ও কমনীয় ভােব সকলকেও মানুষ শিল্পের চক্ষে দেখিতে পারে। মানুষ ভাগবত পাঠ করিয়া ভক্তির কমনীয়তা লক্ষ্য করিয়া বলিতে পারে, “বাঃ, ভক্তি কি কমনীয় জিনিষ ।” অথচ প্রকৃত ভক্তির সহিত পরিচয় এই পৰ্য্যন্তই থাকিতে পারে, ইহার অধিক না। যাইতে পারে । ধৰ্ম্মকে এভাবে ব্যবহার করা কি শোচনীয় নহে ? সাধারণ মানুষে ধৰ্ম্মকে আর এক ভাবে দেখিয়া থাকে ; তাহা এই যে ইহা একটা শাসন। মানুষ কৰ্ম্মফল ভোগের জন্য সংসারপাশে বদ্ধ হইয়াছে, তাহা হইতে নিস্কৃতিলাভ করা আবশ্যক। ধৰ্ম্মের নিয়ম সকল পালন করিলে সেই অভীষ্ট সিদ্ধ হইতে পারে, অতএব দারুণ ভার স্বরূপ বোধ হইলেও সে সকল নিয়ম প্ৰতিপাল্য । জিপ, তপ, ব্ৰত, উপবাস এ সকলে কার সুখ হয় ? সুখ না হইলেও এ সকল আচরণীয়, কারণ তদ্ভিন্ন মুক্তিলাভের উপায় নাই। বিধাতা মানবের মুক্তিলাভের উপায় স্বরূপ এই সকল শাসন রাখিয়াছেন। মনে কর, এক ব্যক্তির দুই বৎসর কারাবাসের দণ্ড হইয়াছে ; তৎপরে তাহাকে বলা গিয়াছে যে যদি সে প্ৰতিদিন দেড়মণ পাথর এক মাইল পথ বহিয়া দিয়া আসিতে পারে, তাহা হইলে তাহাকে ছয় মাস পরেই মুক্তি দেওয়া যাইবে ; তাহা হইলে কি সে মরিয়া