পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JR Ve R ধৰ্ম্মজীবন। য়ের মধ্যে যে প্রাচীর ছিল তাহা ভাঙ্গিয়া যায় ; তখন সকল কাৰ্য্য ধৰ্ম্মসাধনের অঙ্গীভূত হইয়া পড়ে ; এবং সকলকোয্যের মধ্যেই একটা মহৎ পারমার্থিক ভাব প্ৰবিষ্ট হয় । হৃদয়নিহিত ঈশ্বর-শ্ৰীতিকে এইজন্য উৎস বলা যাইতেছে, যে ইহা হইতে সাধুতার প্রতি প্ৰেম, সাধুদের প্রতি প্ৰেম, সকলি উৎসারিত হইতে থাকে । তখন আর কেবল মাত্র তত্ত্ববিদ্যার আলোচনার উদেশে ধৰ্ম্মের আলোচনা সম্ভব থাকে না । তত্ত্বজ্ঞান প্ৰেমালোকে উজ্জ্বল হইয়া ধৰ্ম্মজীবনের গাঢ়তা সম্পাদন করে। হৃদয়ে প্রেমের উৎস একবার খুলিলে, ছবি দেখার ন্যায় সাধুচরিত আলোচনা করা সম্ভব থাকে না ; তখন প্ৰত্যেক সাধুর চরিত্র জীবন্ত শক্তির ন্যায় অন্তরে প্রবেশ করিয়া ব্যাকুলতাকে উদ্দীপিত করে ও ধৰ্ম্মজীবনের পক্ষে সহায় হয় । ধৰ্ম্মের বাহিরের নিয়ম ও শাসন সকল তখন আর ভারস্বরূপ বোধ হয় না । আত্মা সে সকলের আচরণে আনন্দ লাভ করিতে থাকে ; নীতি আর মানবের আইনে লিখিত নিয়ম ধাকে না ; কিন্তু অন্তর হইতে প্রসূত জীবনরূপে পরিণত হয় । ধৰ্ম্ম কি ভাবে অন্তরে থাকিয়া কাৰ্য্য করে তাহার ভাব দুই একটী দৃষ্টান্ত দ্বারা প্ৰদৰ্শন করা যাইতে পারে। প্রথম, ধৰ্ম্মকে মানব-দেহের রক্তের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। রক্তস্রোত রক্তাধার হইতে উৎসারিত হইয়া সমুদায় দেহে ব্যাপ্ত হয়। ঐ রুধির দেহের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার কায ।