পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের সুত্ৰ । Revo করে ; চক্ষে জ্যোতি দেয়, হস্তে বল দেয়, মস্তিষ্কে তেজ দেয় । একই রক্ত সুস্থ মানব শরীরে বিবিধ আকারে প্রকাশ পায় এবং বিবিধ কাব্যকে প্ৰকাশ করে, কিন্তু মূলে সেই একই রক্ত । অকপট ঈশ্বর-শ্ৰীতি যখন মানব-হৃদয়ে বাস করে, তখন তাহারও কাৰ্য্য কতকটা সেইরূপ। তখন আর মানুষের এক একটী কথা, বা এক একটি কাজকে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ভাবে সামলাইতে হয় না ; হৃদয়-নিহিত ঈশ্বর-শ্ৰীতি বা ধৰ্ম্মই সকলকে সামলাইয়া লয় । সুস্থ ব্যক্তিকে অন্ন জল দিয়া যেমন আর পৃথক পৃথক রূপে ভাবিতে হয় না, ইহার চক্ষে জ্যোতি কিরূপে আসিবে, হস্তে বল কিরূপে পাইবে, মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি কিরূপে বাড়িবে, সেই অন্ন জল রুধির রূপে পরিণত হইয়া সকল কাৰ্য্যই সাধন করে ; তেমনি অকপট ঈশ্বর-শ্ৰীতি হৃদয়ে থাকিলে আর পৃথক পৃথক রূপে ভাবিতে হয় না, এ মানুষ অমুক অবস্থায় কি করিবে ? সেই গ্ৰীতিই আলোকস্বরূপ হইয় তাহাকে পথ দেখাইয়া দেয় ও পাপ প্রলোভনকে অতিক্ৰম করিবার শক্তি দেয় । হৃদয়-নিহত ধৰ্ম্মকে যেমন রুধিরের স্রোতের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে, তেমনি ইহাকে জীবনের অন্তরালবৰ্ত্তী সূত্রও বলা যাইতে পারে। পুষ্প সকল পরস্পর হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িয়া থাকে, সূত্র গাছি তাহদের মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া তাহদিগকে মালারূপে পরিণত করে ; শৃঙ্খলা ও সৌন্দৰ্য্য আনিয়া দেয়। তেমনি ধৰ্ম্ম যখন অদৃশ্য সূত্রের ন্যায় অন্তরালে থাকিয়া