পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মই মানব-জীবনের আলোক । -1)OO এ ব্ৰহ্মাণ্ডকে কে প্ৰকৃত চক্ষে দেখিয়া থাকেন ? যিনি ইহাকে খণ্ডভাবে দেখেন, যিনি মনে করেন। ইহার ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে ভিন্ন ভিন্ন শক্তি কাৰ্য্য করিতেছে, মূলে কোনও নিয়ামক শক্তি নাই, কোনও ঐক্য নাই, তিনি কি ইহাকে ঠিক দেখোন ? অথবা যিনি মনে করেন ইহা একই শক্তির ক্রীড়াভূমি, একই জ্ঞান ও একই প্ৰেম ইহাকে আপনার মহা আবেষ্টনে আবদ্ধ রাখিয়াছে, তিনি ইহাকে ঠিক দেখোন ? এই এক গুরুতর বিষয়ে প্রাচীনে ও নবীনে ঘোর প্রভেদ ঘটিয়াছে। প্ৰাচীন কালের মানুষ এ ব্ৰহ্মাণ্ডকে যে ভাবে দর্শন করিতেন, নবীন কালের মানুষ আর সে ভাবে দর্শন করেন না। বেদ-মন্ত্ৰ সকলের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখিতে পাই, উক্ত মন্ত্ৰকৰ্ত্তা ঋষিগণ প্ৰকৃতির শক্তি সকলের পরস্পর হইতে পৃথক রূপে ধারণা করিয়া তাহদের স্তুতি করিতেছেন। তাহারা দেখিতেন মেঘ বারিবর্ষণ করে, যদ্বারা মেদিনী ফলশস্যশালিনী হয়, উষা সূৰ্য্যালোককে আনয়ন করে, যদ্বারা উদ্ভিদ ও জীবের জীবন রক্ষা হয়, বায়ু মেঘকে বহন করে, যদ্বারা নানা দেশে ও নানা ক্ষেত্রে বৃষ্টি ধারা পতিত হয়, সুতরাং তঁাহারা ভাবিতেন ইহারা সকলেই মানবের বন্ধু এবং