পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের আলোক । Re* সকলের মধ্যে একপ্রকার সখ্যভাব আছে । আবার যখন দেখিতেন যে শক্তি এক সময়ে হিতকারী তাহাই অপর সময়ে ঘোর অনৰ্থকারী, যে বায়ু এক সময়ে মেঘকে বহন করে, প্ৰাণকে ধারণ করে, সেই বায়ুই প্রভঞ্জনরূপ ধারণ করিয়া অপর সময়ে ত্ৰিভুবনকে কম্পিত করে ; ষে মেঘ এক সময়ে শাস্তি ও উর্বরতা বিস্তার করে, তাহাই অপর সময়ে দারুণ অশনি নিক্ষেপ করে ; যে অগ্নি এক সময়ে আহুতি বহন করে তাহাই অপর সময়ে দাবানল রূপ ধারণা করিয়া অরণ্যানী দগ্ধ করে ; তখন মনে করিতেন দেবগণ নিশ্চয় কুপিত হইয়াছেন, সুতরাং তাহাদের প্রসন্নতা সম্পাদনের জন্য স্তুতি আবশ্যক । আদিম কালের মানুষ যখন প্ৰথমে অনুভব করিল যে এ জীবনটা আমাদের হাতে নয়, ইহার সুখ দুঃখ, জরা মরণ ব্যাধি আমাদের ইচ্ছাধীন নয়, তখন মনে করিল। তবে ইহা ঐ সকল প্ৰকৃতির অন্তরালবত্তী শক্তি সকলেরই ইচ্ছাধীন । এ কারণে জীবনের সর্বাবিধ সুখ দুঃখে, জয় পরাজয়ে, উত্থান পতনে, দেবগণের অৰ্চনার নিয়ম প্ৰচলিত হইল । এ নিয়ম সর্বদেশের পক্ষেই খাটিয়াছে, এখনও অনেক বর্বর জাতি জগতে রহিয়াছে যাহার এইরূপ খণ্ড ভাবে SolisSCF (WfSCSCS প্ৰাচীন পারসীদিগের ন্যায় কোন কোন ও জাতি মানবের হিত ও আহিতের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া ব্ৰহ্মাণ্ডকে দুই বিরোধী শক্তির রণক্ষেত্ৰ বলিয়া কল্পনা করিয়াছিলেন । আহুৱা মাজদ