পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्ष बांनद-छौदcनद्ध चाgणांक } *\9 একপ্রকার কার্ষ্যই চলিতেছে। যে নিয়মে বৃক্ষ হইতে ফলাটী ধরা পৃষ্ঠে পড়িতেছে, সেই নিয়মেই গ্ৰহগণ সূৰ্য্যের চারিদিকে প্ৰদক্ষিণ করিতেছে । ইহা কি পরমাশ্চৰ্য্যময় তত্ত্ব নয় ? তৎ পরে যদিও জ্ঞানিগণ বিচার কালে ব্ৰহ্মাণ্ডকে নানা ভাগে বিভক্ত করিয়া বিচার করিতেছেন, তথাপি এ সকল বিভাগ পরস্পরের সহিত এরূপ ঘনিষ্ঠভাবে সম্বন্ধ, যে এক বিভাগকে পূর্ণ জানিতে গেলেই সকল বিভাগকে জানিতে হয় । একটী তৃণাকণা হস্তে করিয়া যদি তাহার তত্ত্ব বুঝিবার জন্য প্ৰয়াস পাও, দেখিবে তাহার রূপের বিষয় চিন্তা করিতে গেলেই সূৰ্য্যালোকের তত্ত্ব জানা আবশ্যক, সূৰ্য্যালোককে বুঝিতে গেলে, ঈথর ও তাড়িতের তরঙ্গের তত্ত্ব বোঝা আবশ্যক, হয়। এই রূপে মানুষ যেমন খাল দিয়া যাইতে যাইতে নদীতে গিয়া পড়ে, নদী দিয়া যাইতে যাইতে মহানদীতে উপনীত হয়, এবং অবশেষে মহা সিন্ধুজলে গিয়া পড়ে, যেখানে আর কুল কিনারা দেখা যায় না, সেইরূপ সেই আশ্চৰ্য্যময় পুরুষের এই আশ্চৰ্য্যময় জগতে, একটা ক্ষুদ্র বিষয় জ্ঞানের সম্পূর্ণ আয়ত্ত করিতে গেলেই কুল-কিনারা হীন জ্ঞানসিন্ধুতে মন নিমগ্ন হইয়া যায়। এই জন্যই বলি এ জগতে মানব-জীবন অনন্ততা ও অজ্ঞেয়তার দ্বারা আবেষ্টিত হইয়া রহিয়াছে। যেমন সাগর মধ্যে দ্বীপ, তেমনি অপার জ্ঞানসিন্ধুর মধ্যে মানব-জীবন । ব্ৰহ্মাণ্ড বাহিরের রূপ মাত্র, অন্তরে একই द्धि -2 ।।