পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re ধৰ্ম্মজীবন । একথা কি বলা যায় না যে ব্ৰহ্মাণ্ডের এই একত্ব ও অখণ্ডত্বের জ্ঞান যাহার নাই তাহার চক্ষে এ জগতকে প্ৰকৃতরূপে দেখিবার আলোকই নাই ? যিনি দেখিতেছেন যে, সূত্র যেমন মণি সকলকে গ্রথিত করিয়া মালা করিয়া রাখে, তেমনি একই জ্ঞান, একই শক্তি খণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তরালে থাকিয়া বিভিন্ন অংশকে গাথিয়া এক করিয়াছেন, তিনিই ব্ৰহ্মাণ্ডকে প্ৰকৃত ভাবে দেখিতেছেন । তেমনি মানব-জীবনের দেখিবারও একটা আলোক আছে। মানব-জীবনের বিষয়ে চিন্তা করিলেই দেখিতে পাই, এই জীবনের ন্যায় গভীর রহস্য আর নাই । জীবন দেহে বাস করে বটে। কিন্তু ইহা কি দৈহিক ধাতু সকলের সংমিশ্রণের ফল ? যেমন চূণ ও হরিদ্র। মিলাইয়া লোহিত বর্ণ প্ৰস্তুত কর, অথবা পাঁচটা পদাৰ্থ মিলাইয়া ঔষধ প্ৰস্তুত কর, এবং নিশ্চয় জান তাহার পিত্তন্ত্রতা শক্তি জন্মিল, তেমনি কি বলিতে পার কতটা অস্থি, কতটা মাংস, কতটা মেদ, মিলিলে জীবনকে উৎপন্ন করে ? যে সকল উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া DD DBBDBDD BDBBD S SDBBD DBLYSBD BBDD BBB DDD পৃথিবীতে ঐ বায়ুতে ও ঐ জলস্রোতে ছিল, এত দিন বটবৃক্ষের দেহ গঠিত হয় নাই কেন ? জীবন্ত বীজটী পড়িল, অমনি বিক্ষিপ্ত উপাদান রাশি একত্রিত হইতে লাগিল। তবে দেখ; অগ্রে জীবন তৎপরে দেহ । মানব-জীবন কতদিকে কত বিষয়ের সহিত সম্বদ্ধ ! প্ৰথম সম্বন্ধ এই দেহের সঙ্গে, যাহার উপচয় ও অপচয়ের দ্বারা জীবন রক্ষা হইতেছে ; তৎপরে সম্বন্ধ