পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের আলোক । R\o তাহার নিদর্শন আমরা প্ৰতি দিন প্ৰাপ্ত হইতেছি। যেখানে প্ৰেমহীন মানুষ কাণ, প্রেমিক সেখানে চক্ষুষ্মান । একবার কতকগুলি নিষ্ঠুর প্রকৃতির ইউরোপীয় দহ্র্য, আমেরিকার কোনও জঙ্গল মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া, সে দেশের আদিম অধিবাসীদের গ্রামে পড়িয়া, মারিয়া, কাটিয়া, কতকগুলি হতভাগ্য নরনারীকে দাসরূপে বিক্রয় করিবার জন্য বন্দী করিয়া লইয়া গেল। ঐ হতভাগ্য বন্দীদিগের মধ্যে এক হতভাগিনী নারী ছিল ; তাহার পতি তখন বুনে কাট কাটিতে গিয়াছিল ; নর-রাক্ষসগণ তাহার অসাহায় শিশুসন্তানগুলিকে একস্থানে পাঠাইল ও তাহার হাতে পায়ে দড়ি বাধিয়া, নৌকাতে ফেলিয়া, তাহাকে আর এক স্থানে লইয়া গেল । ক্রমে রাত্ৰি উপস্থিত ; তাহার সন্তানগণ যে স্থানে রহিল, রমণী তাহা জানিত বটে, কিন্তু মধ্যে পািনর ষোল মাইল ঘোর অরণ্য ব্যবধান । রাত্রিকালে তন্মধ্যে পথ নির্ণয় করা দুরে থাকুক, দিনের বেলাই সে পথে গমন করা দুর্ঘট । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই, সেই রাত্ৰি প্ৰভাত হইবার সময়ে দেখা গেল, শিশুগুলি যে গৃহে বন্দী আছে, মাতা তাহার চতুঃ স্পার্শে ঘুরিতেছে। কে তাহাকে সেই রাত্ৰে ষোল মাইল ঘোরারুণ্য পার হইয়া আসিতে সমর্থ করিলা ? কে তাহাকে পথ দেখাইয়া দিল ? কে তাহাকে দুর্ভেদ্য সাহস-বৰ্ম্মে আচ্ছাদিত করিল ? মাতৃস্নেহ কি নয় ? আর একটী ঘটনার কথা বলিতেছি, তাহাও এই প্রকার Yzr