পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՀ ধৰ্ম্মজীবন। সকলই যে কেবল একীভূত তাহা নহে ; জড় জগত ও মানবসমাজও একতাসূত্রে মানব-জীবনের সহিত গ্রথিত । আরও অন্তস্তলে প্ৰবিষ্ট হইয়া দেখিলে দেখা যায় যে, কেবল যে এই জড় জগতের সঙ্গে ও মানব-সমাজের সঙ্গে মানব-জীবনের সম্বন্ধ রহিয়াছে তাহা নহে ; সেই সম্বন্ধকে নিয়মিত ও সুফলপ্ৰদ করিবার জন্য কতকগুলি নিয়মও রহিয়াছে। জড় জগতের সম্বন্ধ-বিষয়ক নিয়মকে আমরা স্বাস্থ্যের নিয়ম বলি ; মানব-সমাজের সমন্ধ বিষয়ক নিয়মকে নৈতিক নিয়ম বলি। ইহা কি সহজেই অনুমান করা যায় না, যে যিনি মানব-জীবনের সহিত জগতের ও জন-সমাজের সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছেন, তিনিই উক্ত উভয় প্রকার নিয়ম স্থাপন করিয়াছেন। তবে ত মানব-জীবন প্ৰবং মানব-জীবনের সমুদায় সম্বন্ধ ও কর্তব্য এক মহা জ্ঞানের মহা বিধানের মধ্যে পড়িয়া যাইতেছে। এ কথা কি বলা যায় না, এই পরমতত্ত্ব বিষয়ে যে অনভিজ্ঞ, মানব-জীবনকে দেখিবার উপযুক্ত আলোক তাহার নিকট নাই ? এই মহা বিধান লক্ষ্য করাই ধৰ্ম্ম । অতএব কেবল জ্ঞানের দিক দিয়া দেখিতে গেলেও ধৰ্ম্মই জীবনের আলোক । কিন্তু জ্ঞানের দিক দিয়াই যে আমরা এই কথার সত্যতা অনুতব করি, তাহা নহে ; প্রেমের দিক দিয়া দেখিলেও এ কথা অতীব সত্য বলিয়া প্ৰমাণিত হয় । প্ৰেম যে মানুষের চক্ষের আলোক হইয়া কাৰ্য্য করে,