পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের উচ্চ আদর্শ । রিক্ত আর কিছু জানে না ; তাহদের দৃষ্টি সেই কৰ্ম্মরূপ প্রাচীরকে উল্লঙ্ঘন করিয়া বাহিরে যায় না ; তাহারা সেই কৰ্ম্মকেই পরমার্থ মনে করে ; তাহাতেই আবদ্ধ ও তাহাতেই সম্পূর্ণরূপে পরিতৃপ্ত থাকে। জ্ঞানিগণের ভাব অন্য প্রকার ; তঁহাদের দৃষ্টি কৰ্ম্মের বাহিরে, জ্ঞানীরাজ্যে, অনেক দুর প্রসারিত ; তঁহার কৰ্ম্মের আচরণ করিতেছেন বটে, কিন্তু কৰ্ম্মকে সামান্য বলিয়াই জানেন ; তাহার কৰ্ম্মকেই পরমাৰ্থ বলিয়া মনে করেন না ; তাহাতেই আবদ্ধ ও তা হাতেই সম্পূৰ্ণ পরিতৃপ্ত নহেন। তঁহার কৰ্ম্মে বাস করিয়া ও কৰ্ম্মের অতীত সুদূর প্রসারিত জ্ঞােনরাজ্যে বাস করিতেছেন। এই দুই বিভিন্ন প্ৰকৃতিসম্পন্ন ব্যক্তির কৰ্ম্মের আচরণে অনেক প্ৰভেদ আছে। একটা দৃষ্টান্ত দ্বারা এই উভয় প্রকার ভাবের প্ৰভেদ কিয়ৎ পরিমাণে বিশদ করা যাইতে পারে । মনে কর কোন ও গৃহস্থের কুলবধু কোন ও পল্লীগ্রাম হইতে কলিকাতাতে সীয় পতির নিকটে থাকিবার জন্য অ্যাসিতেছেন । এক দিন রজনীযোগে তাহাকে সহরের বাড়ীতে আনা হইল ; তিনি নৈশ অন্ধকারে সহরের কিছুই দেখিতে পাইলেন না ; এমন কি যে ভবনে আসিলেন, তাহাও ভাল করিয়া দেখিতে পাইলেন না ; পরদিন প্ৰাতে উঠিয়া নিজ বাস ভবনটী দেখিয়া বলিলেন -“ও বাবা ! এ যে দেখি প্ৰকাণ্ড পাকা কোঠা বাড়ী, এ যে দেখি গ্রামের অমুক বাবুর বাড়ীর মত ?” তিনি গ্রামে পৰ্ণ, কুটীরে বাস কৱিতেন এবং জন্মের মধ্যে গ্রামের একঘর ধনীর