পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅ b”8 ধৰ্ম্মজীবন। ইয়া দিয়াছেন, জন সমাজকে উলট পালট করিয়াছেন, তখন জগতের লোক আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া ভাবিয়াছে, ব্যাপারে একজন গরীব ব্ৰাহ্মণের ছেলের, বা একজন বণিক সন্তানের, বা একজন উষ্ট্রচালক বণিক পুত্রের, বা একজন সূত্রধর-তনয়ের, এত শক্তি ! আগে জানিতাম যাহাদের সৈন্য আছে, কামান, বারুদ গোলাগুলি আছে, তাহারাই মানুষকে পরাধীন করিয়া রাজা হয় ; এখন দেখি দরিদ্রের সন্তানের মানব-হৃদয়কে হরণ করিয়া রাজা হয় । যেমন লোহার তারটা দিয়া যে শক্তি ক্রীড়া করে, তাহা প্যাটারির শক্তি, তারটার নয়, তেমনি সাধুদের মধ্য দিয়া যে দুৰ্জয়-শক্তি জগতকে জয় করিয়াছে, সে শক্তি তাহীদের নয়, তঁহাদের পশ্চাদ্বন্ত্ৰী অনন্ত শক্তিসমূদ্র হইতেই উত্থিত। তুমি আমি যে নীতি ও ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিবার সময়ে পশ্চাতে এই শক্তি সমুদ্র দেখিতে পাইন, এবং আপনাদিগকে সেই মহাশক্তির হস্তে ক্ষুদ্র তারটার ন্যায় অনুভব করি না, ইহাতেই তোমার আমার ক্ষুদ্রতা ও দুর্বলতা ; আর সাধুরা যে অনুভব করিয়াছিলেন- “যে কাৰ্য্য করিব তাহা তার, যে শক্তিতে জিতিব তাহা তার” ; এই স্থানেই তাহদের মহত্ত্ব ও সবলতা । প্ৰকৃত ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও প্রকৃত ধৰ্ম্মভাব মানবকে এই শক্তির মহাসমুদ্রের সহিত একীভূত করে বলিয়াই ইহা নীতির প্রকৃত ভিত্তি । এই সত্য প্রতীতি করিলেই আমরা মহাত্ম যীশুর একটি উক্তির তাৎপৰ্য্য অনুভব করিতে সমর্থ হই । তিনি বলিতেন “যাহারা ধৰ্ম্মবিশ্বাস ভিন্ন অন্য ভূমির উপরে আপনা