পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের শক্তি । Հե (; দের চরিত্রের ভিত্তি স্থাপন করে, তাহারা সমুদ্রের বেলা ভূমির উপরে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করে। বড় আসে, বৃষ্টি হয়, বাণ ডাকে, বালিরাশির উপরে নিৰ্ম্মিত সে গৃহের ভিত্তি আর থাকে না ; কিন্তু যাহারা ধৰ্ম্মবিশ্বাসরূপ ভূমির উপরে চরিত্রের ভিত্তিস্থাপন করেন, তাহারা পাষাণময় ভূমির উপরে গৃহনিৰ্ম্মাণ করেন।” দৃঢ়তা, সবলতা ও স্কায়িত্বের নিদর্শন দিতে হইলেই মানুষ পাষাণের দৃষ্টান্ত দেয়। এতএব পাষাণময় ভূমি বলিলে দৃঢ় ও অবিনশ্বর ভূমি বুঝায়। বাস্তবিক ধৰ্ম্মানুপ্রাণিত নীতির ভূমি এইরূপ দৃঢ় ও অবিনশ্বর। যে ব্যক্তি আপনার পদদ্বয়ের নিম্নে এই দৃঢ়তা ও অবিনশ্বরতা না দেখিতে পায়, সে নীতিতে স্থির থাকিতে পারে না ; যে পায় সেই দাড়ায় । এই কারণেই বলি, ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস মানবজীবনের মহা শক্তি । কেবল বিশ্বাসের দিক দিয়াই যে ধৰ্ম্মকে মানবজীবনের শক্তি বলিতেছি। তাহা নহে; প্রেমের দিক দিয়া দেখিলেও সেই কথা । ঐ যে মানব-হৃদয়ে একটা খণি আছে, যাহাকে তোমরা বল প্ৰেম, উহার মধ্যে যে কত শক্তি আছে তাহা কি কেহ বলিতে পারে ? মানুষ এ জগতে অনেক অসম্ভব সম্ভব করিয়াছে; অনেক মহত্ত্ব, অনেক বীরত্ব ও স্বাৰ্থত্যাগ দেখাইয়াছে ; কিন্তু মানুষের মহত্ত্ব ও বীরত্ব-কীৰ্ত্তি কি পৰ্য্যবসিত হইয়াছে ? কে তাহা বলিবে ! ঐ প্রেমের খনি হইতে এখনও যে কত মহত্ত্ব ও বীরত্ব উঠিতে পারে তাহ কে বলিতে পারে ? জগতে আমরা যত আশ্চৰ্য্য জিনিষ দেখিয়াছি সর্বাপেক্ষা আশ্চৰ্য্য জিনিষ মানুষ, যাহার