পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्षमा भांनद-छौदgन्द्ध अख्ति । ቅgb” ዓ তেমনি কাজ করিবার শক্তি । বিখন শিষ্যগণের সকলে শ্রান্ত, সকলে সংশয়াপন্ন, সকলে অবসন্ন, ও রণে ভঙ্গ দিতে উন্মুখ, তখন তঁহাদের মুখে একই কথা, স্বৰ্গরাজ্য সম্মুখে, ভয় পাইও না ; অবিশ্রান্ত সংগ্ৰাম কর । এই নৈরাশ্য বিহীন আশা যে মানব-চরিত্রের কি গৃঢ় শক্তিকে প্ৰকাশ করে, তাহা ভাষাতে বর্ণন করা যায় না । এভাবেও ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের | আর এক ভাবে একথা সত্য । ধৰ্ম্ম যে কেবল ধাৰ্ম্মিকের অন্তরেই শক্তি আনিয়া দেয় তাহা নহে, অপর হৃদয়ের উপরেও স্বীয় প্রভাব বিস্তার করে। একবার একজন চীন দেশীর রাজা জ্ঞানি-শ্রেষ্ঠ কংফুচকে জিজ্ঞাসা করিলেন-“হে সাধো ! রাজ্যশাসন ও প্ৰজা পালনের জন্য কি কখন কখনও বিদ্রোহীদিগকে হত্যা করা আবশ্যক হয় না ?” কংফুচ উত্তর করিলেন “হে রাজন ! কেন আপনি হত্যার বিষয় ভাবিবেন ? আপনি ‘ন্যায় ও ধৰ্ম্মানুসারে রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করুন, দেখিবেন বায়ুর অগ্ৰে শস্যক্ষেত্র যেমন স্বভাবতঃ অবনত হয়, তেমনি আপনার অগ্ৰে প্ৰজাকুল স্বভাবতঃ নত হইবে।” ধৰ্ম্ম যখন এক চরিত্রে বাস করে, তখন তাহ স্বভাবতঃ অপর চরিত্রে স্বীয় প্রভাব বিস্তার করিয়া থাকে। ইহাও মানুষের এক প্রকার শক্তি । আমাদের প্রাচীন নীতি শাস্ত্ৰে আছে ঃ “কামক্রোধে বশে যস্য তেন লোকত্ৰয়ং জিতৎ।" অর্থ-“যে ব্যক্তি কাম ও ক্রোধকে স্বীয় বশে আনিয়াছে