পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মই মানব-জীবনের মুক্তি । ROR উহা ক্রমে কুলগত হইয়া পড়িল । ইহঁরাই কালে ব্ৰাহ্মণ আখ্যা প্ৰাপ্ত হইলেন। পরে সংসারে বিপদাপদ উপস্থিত হইলেই বা যুদ্ধ বিগ্ৰহাদি ঘটিলেই,ব্ৰাহ্মণের সাহায্যের প্রয়োজন হইত। ব্ৰাহ্মণগণ ইহারই উপরে আপনাদের শক্তিকে স্থাপন করিালেন : এবং শাস্ত্রকার ও শাস্ত্রের ব্যাখ্যাকৰ্ত্ত হইয়া প্ৰবল প্ৰতাপে ভারত-সমাজকে শাসন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। অপরাপর দেশেও এই প্রকার ভিত্তির উপরে পৌরহিত্যের শক্তি স্থাপিত। দুঃখের সহিত স্বীকার করিতে হইতেছে, পৌরহিত্যশক্তি মানব উন্নতির সহায়তা না করিয়া, অধিকাংশস্থলে উন্নতির পথে অন্তরায়স্বরূপ হইয়াছে। মানবের ভয়ের উপরে আপনাকে প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া, মানবাত্মার স্বাধীনতা হরণ করিয়াছে । এই সকল বন্ধন হইতে মুক্তি লাভের প্রধান উপায় জ্ঞান, -জগত সন্বদ্ধে প্ৰকৃত জ্ঞান । এই জ্ঞান জগতে যতই বিস্তার হইতেছে, ততই তিনটি সত্য মানুষের মনে জাগিয়া উঠিতেছে। প্রখম সত্য এই—মানুষ বুঝিতে পারিতেছে যে ব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তরালে দুই, দশ বা ততোধিক শক্তি নাই ; একই জ্ঞান ও একই শক্তি সর্বত্ৰ কাৰ্য্য করিতেছে। “যে দেবোগ্নেী যোন্স” “যে দেবতা অগ্নিতে তিনিই জলে ।” যে জ্ঞান ও যে শক্তি এই ধরা পৃষ্ঠে কাৰ্য্য করিতেছে, সেই জ্ঞান ও সেই শক্তি দূর হইতে সুদূরবত্তী গ্ৰহ নক্ষত্রে কার্স্য করিতেছে। দ্বিতীয় সত্য এই-ব্রহ্মাণ্ডের অন্তরালবৰ্ত্তী জ্ঞান ও শক্তি দুর্বল, চঞ্চল, ও প্ৰবৃত্তিপরতন্ত্র মানবের ন্যায় খামখেয়ালী নহে ;