পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মই মানব-জীবনের মুক্তি। RI' তবে দেখ, এই নব জ্ঞানলোক মানব-চিত্তকে কত প্ৰকার বন্ধন হইতে মুক্ত করিতেছে। কিন্তু কেবল যে জ্ঞানই মানবকে বন্ধন হইতে মুক্ত করে তাহা নহে, জীবন্ত ধৰ্ম্ম মানব-হৃদয়ে LLLLLBB BBD BDDDLL DDDSBDBB BBDD LY SS DDBDBD যীশু একবার শিষ্যদিগকে উপদেশ দিয়া বলিলেন- “সত্যকে জান, সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে ।” সত্যকে জান অর্থাৎ, ধৰ্ম্মকে জান । ধৰ্ম্মের অর্থ বিমল ঈশ্বর-শ্ৰীতি । এই শ্ৰীতি হৃদয়ে বাস করিলে, মানুষ তাজা ধৰ্ম্ম আপনার প্রাণে আস্বাদন করে। তখন সকল প্রকার বন্ধন আপনাপনি ঘুচিয়া যায়। প্ৰথম বন্ধন ভয়ের বন্ধন । যতদিন ঈশ্বরে মানবের প্রীতি না জন্মে, ততদিন তাহাকে, “মহদ্ভয়ং বাজমুদ্যতং” অর্থাং বজের ন্যায় মহাভয়ানক রূপে দেখিতে থাকে ; ততক্ষণ তঁহার ইচ্ছাতে নিজের ইচ্ছা সমৰ্পণ অপেক্ষা, তাহার প্রসন্নতা সম্পাদন অধিক লক্ষ্য হয়। এই অবস্থাতে মানুষ শাস্ত্ৰ, গুরু, বাহিরের ক্রিয়া প্ৰভুতি নানা প্ৰকার বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া পড়ে। প্রেমিকের অন্য ব্যবহার, অন্য ভাষা । তিনি বলেন ;- “আমি সুখে রয়েছি, পিতার কাছে আছি এখন আমার কিসের ভয় !” তিনি বলেন—“মন তুমি নিৰ্ভয়ে বাস কর, নিশ্চিন্তমনে সতে্যুর ও ধৰ্ম্মের অনুসরণ কর, ধৰ্ম্মের রক্ষক ও সহায় একজন আছেন। তুমি কখনও উঠিবে, কখনও পড়িবে, সব কাজ গুছাইয়া করিতে পরিবে না, দাশগুণ করিবে ভাবিয়া দুগুণ