পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9 abo क्षमस्औदन । ভাবের চরিতার্থতার অধিক আর কিছু অন্বেষণ করি না। যখন দাৰ্জিলিঙ্গ পাহাড়ে যাই, ও সেখানকার সুরম্য দৃশ্যাবলীর মধ্যে বিচরণ করি, বা কোনও চিত্ৰশালিকাতে পদার্পণ করি, তখন কি চাই ? সুন্দর ছবি দেখিয়া চক্ষু ও মনের যে একপ্রকার পরিতৃপ্তি হয় তাহার অধিক আর কিছুই চাই না । কিছু যে ঘরে লইয়া যাইতে হইবে, কিছু যে কাজ করিতে হইবে, কিছু পুরাতন ছাড়িতে বা কিছু নূতন যে ধরিতে হইবে, এরূপ মনে হয়না । সুরম্য দৃশ্য দর্শনে অন্তরে চমৎকার সম্বলিত যে আনন্দ রস উথলিতে থাকে, তাহতেই আপ্যায়িত হইয়া থাকি । এই জগতে এক শ্রেণীর লোক আছেন, যাহারা ধৰ্ম্মকে এই ভাবেই সেবা করিয়া থাকেন। তাহারা ইহার নিকট ভাবের চরিতার্থতা ভিন্ন আর কিছুরই প্ৰত্যাশ করেন না । ইহাদিগকে mystic বা ভাবুক বলে । ইহারা কল্পনার রথে আরোহণ করিয়া সৰ্ব্বদাই ধৰ্ম্মের অতু্যচ্চ শৃঙ্গে উখিত হইয়া থাকেন। যেমন অহিফেনসেবী অহিফেনের ধুমের প্রভাবে, ছিন্ন মাদুরে বসিয়া বসিয়া, মনে করে এই আমার বাড়ী গাড়ি জুড়ী প্ৰভৃতি হইতেছে, তেমনি এই ভাবুকগণও বসিয়া বসিয়া ভাবেন এই আমার আত্মা সহস্রা ভেদ করিয়া বিরজার পর-পারে, গোলোকধামে উঠিতেছে। এই গোলোকধামে উঠিতে ব্যয় কিছুই নাই ; ছাড়িবার বা ধরিবার কিছুই নাই ; লৌকিক বা সামাজিক ব্যবহারের সঙ্গে ইহার কোনও সম্বন্ধ নাই । আমাদের দেশে বহুসংখ্যক এরূপ ভাবুক সম্প্রদায়