পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যস্বরূপের অৰ্চন । Woos আছে, এবং এখনও নুতন নুতন সম্প্রদায় দেখা দিতেছে। ইহাদের কাৰ্য্যের সমালোচনার অগ্ৰেই বলা আবশ্যক যে ভাব ধৰ্ম্মজীবনের একটা প্ৰধান অঙ্গ । কেবল তাহা নহে, ধৰ্ম্মজীবন গঠনে কল্পনারও মহৎ কাৰ্য্য আছে । যে ব্যক্তি পাপের পতিত হইতেছে, সে যদি কল্পনার সাহায্যে আপনার পাপে ফলটা আপনার নিকটে উজ্জ্বলরাপে চিত্ৰিত করিতে না পারে, তবে পাপের প্রতি তাহার সমুচিত ঘূণার উদয় হয় না ; অথবা সাধুর সাধুতার ছবি যদি আপনার চক্ষের নিকটে ভাল করিয়া অঙ্কিত করিতে না পারে, সমুচিত শ্রদ্ধা ভক্তির উদয় হয় না । অধিক কি, অনেক সাধু সাধবীকে যে অনেক সময় অপরের পাপ তাপের প্রতি উদাসীন দেখা যায়, তাহার কারণ এই যে, তাহদের কল্পনার শক্তি অল্প, র্তাহারা অপরের অবস্থাটা সমুচিত উজ্জ্বল রূপে আপনাদের নিকট চিত্ৰিত করিতে পারেন না । আর ধৰ্ম্মজীবনে ও ধৰ্ম্মসাধনে ভাবেরও যে প্রয়োজনীয়তা আছে, তাহাও সহজে অনুভব করা যাইতে পারে। ভাবের ন্যায় কোমল স্মৃহিণীয় ও হৃদয়স্নিগ্ধকারী পদাৰ্থ অল্পই আছে । যদি মানব-হৃদয়ে ভাব না থাকিত, মানব-জীবন কি শুস্ক মরুভূমির ন্যায় হইত ! পিতা মাতার স্নেহালিঙ্গন পাইয়া, বা প্ৰণয়িণীকে বাহু পাশে বাধিয়া, বা শিশু সন্তানকে বুকে ধরিয়া, বা বন্ধুর কাঠালিঙ্গন করিয়া, বা পরের দুঃখের অশ্রু মুছাইয়া, ষে অনির্বাচনীয় আনন্দ হয়, যে ভাবোচ্ছাস অনুভব করা যায়, তাহা মানব