পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যস্বরূপের অর্চনা । VS) ) প্রেম, পরের প্ৰিয়াচীকির্ষী, প্রভৃতি পুরুষোচিত গুণ র্তাহাদের চরিত্রে বিকাশ পায় না। ইহার একটী গৃঢ় কারণ আছে। যেমন যে বৃক্ষের উৎপাদিকা শক্তি রাশি রাশি নব পাল্লাবে পৰ্য্যবসিত হইয়া যায়, তাহাতে আর ফল ধরেন, তেমনি যে চরিত্রের আধ্যাত্মিক শক্তি কল্পনা ও ভাবের প্রাচুৰ্য্যে পৰ্য্যবসিত হয়, তাহাতে মনুষ্যত্বের ফল দেখা দেয় না । এইরূপ প্ৰকৃতি-সম্পন্ন ব্যক্তিরা ভাবের উত্তেজনা সম্ভোগ করিয়া মনে করেন যে, ঈশ্বর ও মানব সম্বন্ধে তঁহাদের যাহা কৰ্ত্তব্য তাহার অনেকটা • করা হইল, অতএব অন্য আদর্শের প্ৰতি আর তঁহাদের দৃষ্টি থাকে না । এজন্য কোনও কোনও চিন্তাশীল ব্যক্তি এতদূর মনে করিয়াছেন যে জগতে ধৰ্ম্মভাবের প্রবলতা হইলে নীতির দুৰ্গতি অনিবাৰ্য্য। অর্থাৎ, মানুষ ধৰ্ম্মভাবের চালনাকে মানব-জীবনের শ্রেষ্ঠ অবস্থা জানিয়া পরস্পরের প্রতি কৰ্ত্তব্যকে অবহেলা করিবে। যাহা হউক, এরূপ আশঙ্কাকে সম্পূর্ণ যুক্তি-যুক্ত মনে করা যাউক আর না। যাউক, ভাবুকতার আতিশয্য দ্বারা যে মানব-চরিত্রের দুর্বলতা উৎপন্ন হয় তাহাতে আর সন্দেহ নাই। বিশেষতঃ ভাবপ্রধান ধৰ্ম্মজীবন সর্বদাই জোয়ার ভাটার অধীন, তাহাতে छिद्धऊ नई । জগদীশ্বর যে এ জগতে মানুষকে রাখিয়া শিক্ষিত ও উন্নত করিতেছেন তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে কি দেখিতে পাই ? দেখিতে পাই যে তিনি সৰ্ব্ব বিভাগেই সত্যের সহিত