পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

() to 8°meቅትኛss ! জীবন হইতে অন্তরিত কর, মানব-জীবনের সম্পূহণীয়তা অৰ্দ্ধেকের অধিক হ্রাস হইয়া যাইবে । তেমনি যাহাকে পিতাদিগের মধ্যে পিতৃতম, জননীর জননী ও সখাদিগের মধ্যে পরমসখা মনে করিতেছি, তাহাকে হৃদয়ে পাইলে ভাবোচ্ছাস হইবে তাঁহা কি স্বাভাবিক নহে? বরং এ কথা কি বলা যায় না যে, তাহার শ্রবণ মননে যাহার চিত্ত বিগলিত হয় না, ভাবরসে নিমগ্ন হয় না, সে হৃদয় স্বাভাবিক অবস্থাতে নাই ? অতএব ভাবের মূল্য হ্রাস করা দূরে থাকুক, বরং বৰ্ত্তমান বিজ্ঞানানুরাগ-বহুল শিক্ষাপ্ৰণালীর এই দোষ দেখিয়া শোক করিতেছি যে, ইহাতে ভাবকে হীন চক্ষে দেখিতে শিখাইতেছে। কবিতা, সাহিত্য, শিল্প প্রভূতি ভাবাত্মক বিষয় সকলের, চৰ্চাকে হীন করিয়। ফেলিতেছে । কিন্তু ধৰ্ম্মভাব এক কথা। আর ধৰ্ম্মে ভাবুকত আর এক কথা । ধৰ্ম্মকে কেবল ভাবের চরিতার্থতার মধ্যে বদ্ধ রাখিলে দুর্বলতা ঘটিয়া থাকে। যেমন এক প্রকার মানুষ দেখি যাহাদিগকে দেখিলে বেশ হৃষ্ট পুষ্ট ও বলবান বলিয়া মনে হয়, কিন্তু অন্তরে মেদবৃদ্ধি রোগ, সেই স্কুল বৰ্ত্তল দেহ অন্তঃসার শূন্য, তাহাতে চারি কড়ার ও বল নাই, ভাবুকতার দ্বারা যাঁহাদের আধ্যাত্মিক দেহ গঠিত হয় তাহদের অবস্থাও কতকটা সেইরূপ । তঁহাদের আত্মা ও মেদবৃদ্ধি রোগে দুর্বল হইয়া পড়ে। প্ৰতিজ্ঞার বল, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা, সৎসাহস, পাপের প্রতি সতেজ ঘূণা, পুণ্যের প্রতি সতেজ