পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যস্বরূপের অর্চনা । USS) করিতে হইয়াছে ; ভুমি চাষিয়া খাদ্য প্ৰস্তুত করিতে হইয়াছে ; মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া দৈনিক অভাব পুরণ করিতে হইয়াছে। তৎপরে প্রাকৃতিক শক্তিসকল মানুষের শক্তিকে বার বার পরাভব করিয়াছে ; মানবের কীৰ্ত্তি লোপ করিয়াছে ; গর্ব খর্ব করিয়াছে; মানুষকে পাষাণ শিলায় ফেলিয়া পিষিয়াছে।। জগদীশ্বরের এইরূপ বিধান ছিল, ইহাতেই মানুষ চতুর, বুদ্ধিমান, দৃঢ় ও কাৰ্যক্ষম হইয়াছে। দেখ, ঈশ্বরের শিক্ষাপ্ৰণালী কেমন সুন্দর ! মানুষকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া যে খাইতে হয়, ইহাকে প্রাচীনের দুঃখের কারণ মনে করিতেন, আমরা তাহা করি না ; আমরা বলি ইহা ঈশ্বরের মঙ্গল বিধি । আমি একবার আগরা সহরে তাজমহলে যাইবার সময় পথে দেখিলাম। একজন ইংরাজ্য আপনার পালিত কুকুরটার ঠেঙে ধরিয়া সজোরে যমুনার জলে ফেলিয়া দিতেছেন ও তৎসঙ্গে দুরে একগাছি যষ্টি ফেলিয়া দিতেছেন, দিয়া কুকুরটাকে ঐ যষ্টিগাছি ধরিয়া আনিতে বলিতেছেন। ; কুকুরটা প্ৰবল স্রোতে হাঁপাইয়া অতিকষ্টে ব্যষ্টিগাছি ধরিয়া তীরে উঠতেছে ; তাহার প্রভু আবার তাহাকে ধরিয়া যমুনার জলে নিক্ষেপ করিতেছেন। দেখিয়া বড় দুঃখ হইল ; মনে করিলাম, এমন নিৰ্দয় ক্রীড়া কেন ? পাশ্বের লোককে জিজ্ঞাসা করিলাম। ইংরাজটা এমন কেন করিতেছেন ? একজন বলিল “কুকুরকে চালাক ও মজবুদ করিয়া লইতেছে।” সে কথাটী আর এ জীবনে ভুলিব না। মনে করিলাম, ঠিক ঠিক, ঈশ্বর ও