পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ধৰ্ম্মজীবন। এইরূপ মানব সন্তানকে কখন কখনও ঠেঙে ধরিয়া ছুড়িয়া বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেন ; উদ্দেশ্য তাহাকে চালাক ও মজবুদ করিয়া লওয়া । আমনি যেন মানবের উন্নতি ও সভ্যতার প্ৰণালী বুঝিবার একটা চাবি হাতে পাইলাম। ইহাতে আর একটা বিষয়েও আলোক পাইলাম। মানুষকে কিরূপে শিক্ষা দিতে হয় তাহাও বুঝিতে পারিলাম। সত্যের সংস্রব ভিন্ন শিক্ষা হয় না,-যতটা সম্ভব সত্যের সঙ্গে ও মানব চিত্তের সঙ্গে যোগ করিয়া দেওয়ার নাম শিক্ষা । “আফ্রিকার মরুপ্ৰান্তে একপ্রকার প্রাণী আছে, তাহাকে বলে সিংহ, তাহা দীৰ্ঘে ৭৮ হাত ও উচ্চে তিন হাত হয়, তাহার ঘাড়ে কেঁকড়া কেঁকড়া লোম হয়, তাহাকে কেশর বলে”-ইত্যাদি বিবরণ দ্বারা শিশুর স্মৃতিশক্তিকে ভারাক্রান্ত না করিয়া, তাহাকে একদিন পশুশালাতে লইয়া গিয়া সিংহ দেখাও, সেটা তাহার পক্ষে শিক্ষা ও একটা জ্ঞান-সম্পত্তি হইবে । মানুষ কল্পনার রাজ্যে বাস করিয়া যাহ। কিছু ধারণা করে, তাহা তাহার জ্ঞান সম্পত্তি নহে ; তাহা জ্ঞানের ছায়া মাত্র। জ্ঞানের শিক্ষা যেমন সত্যের সংঘর্ষণে হয়, হৃদয় নিহিত ভাবের বিকাশও সেই রীতিতে হইয়া থাকে । আমরা মানব-সমাজে যে পারস্পরের সহিত মিশিতেছি, পরস্পরের নিকট বসিতেছি, ইহাতে অজ্ঞাতসারে যে পরস্পরকে কতটা শিক্ষিত করিতেছি তাহা ভুলিয়া যাই। মানুষ মানুষের কাছে দাড়াইলেই একজন অপর জনের প্রকৃতিকে কোনও না কোনও ভাবে ফুটায় }