পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব-জীবন । -1DOO প্ৰকৃতিরাজ্যে যেখানেই জীবন বা উন্নতি দেখি, সেখানেই ক্ৰমবিবাশ । কুত্ৰাপি আকস্মিক ও গুরুতর পরিবর্তন দুন্ট হয় না। ক্ষুদ্র উদ্ভিদাণু হইতে প্ৰকাণ্ডকায় মহীরূহ পর্যােন্ত, ক্ষুদ্র জীবাণু হইতে সৃষ্টির রাজা মানব পৰ্যন্ত, সৰ্ব্বত্রই ধীরে ধীরে শক্তি ও তৎসাধ্য কাৰ্য্য সকল বিকশিত হইয়াছে । সৃষ্টিকৰ্ত্তার সহিষ্ণুতা অসীম ! তিনি কত যুগ ধরিয়া কদৰ্য্যতার মধ্যে সৌন্দৰ্য্যকেও বিশৃঙ্খলার মধ্যে শৃঙ্খলাকে ফুটাইতেছেন। কোন ও বিভাগেই র্তাহার ব্যস্ততার লক্ষণ দুন্ট হয় না ; মানব নিজ অসহিষ্ণুতা বশতঃ বিলম্ব সহা করিতে পারে । না । শিশুরা যেমন সঙ্গাকালে আমের আঁঠিটা পুতিয়া প্ৰাতে ফলযুক্ত বৃক্ষ দেখিতে চায়, তেমনি অসহিষ্ণু মানব ত্বরিত জগৎকে আপনার ইচ্ছার মত দেখিতে চায় । কিন্তু বিধাতা এই ব্যস্ততা ও উদ্বেগের ভাবে কাৰ্য্য করেন না ; তিনি যাহা করিবার ধীরে ধীরে করিতেছেন, রহিয়া বসিয়া ফুটাইতেছেন, অল্পে অল্পে বৰ্জন ও অল্পে অল্পে গ্ৰহণ করিতেছেন । এই প্রক্রিয়াকে বলে বিবৰ্ত্তন-প্ৰক্ৰিয় । এই প্রক্রিয়া সৰ্ব্ব বিভাগেই চলিয়াছে ; কেবল যে প্রকৃতিরাজ্যে, যেখানে ভৌতিক শক্তি সকল অনুল্লঙ্ঘনীয় নিয়মে আবদ্ধ হইয়া কার্স্য করিতেছে, কেবল যে সেই