পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थेधश भिन्क } woos' হয়, অমনি সেই সঙ্গে সঙ্গে তাহার নিকটে জ্ঞাতব্য বিষয় সকল প্ৰকাশ করিতে থাকেন। বিষয় সম্পত্তি কোথায় কি আছে, বােবস বাণিজ্য কোথায় কি চলিতেছে, জমিদারীর কোথায় কি বন্দোবস্ত আছে, কোন কৰ্ম্মচারীর প্রতি কোন ভার আছে, এ সমুদয় ক্রমে ক্ৰমে ব্যক্তি করিতে থাকেন । সন্তানকে নিজের কাজের সহায় করিয়া লইয়া, কিরূপে সংসার চালাইতে হয় তাহার শিক্ষা দেন। ইংলণ্ড প্রভৃতি সভ্য দেশে, অনেক ধনী গৃহস্থের ভবনে এরূপ নিয়ম আছে, যে তাহারা বাড়ীর যে ছেলেকে যে কাৰ্য্যের তত্ত্বাবধায়ক করিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে অগ্রে সে কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়া থাকেন। মনে করা লণ্ডনের সুপ্ৰসিদ্ধ রথচাইলড নামক পরিবারের একটা কেতাব বাধা দপ্তরীর কারখানা আছে, তাহাতে অনেক টাকা লাভ হয় । গৃহস্বামী মনে করিলেন পুত্রদিগের একজনকে সেই কারখানার তত্ত্বাবধায়ক করিবেন । আগ্ৰে তাহাকে লেখা পড়া শিখাইয়', সকল প্ৰথমে একটা মাসিক বৃত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়া, তাহাকে একটা পুস্তক বাধা কাজে নিপুত্ৰজ্ঞ করিলেন। সে দপ্তরীদের সঙ্গে বসিয়া নিজ হাতে কেতাব বাধিতে লাগিল । সে কাজটা শিখিয়া ও বুঝিয়া লইলে, আর একটু উন্নত কাজে দিলেন, সেটা বুঝিয়া লইলে, হিসাব পত্রের খাতায় বসাইলেন, সেটা শিখিলে আর এক স্থানে দিলেন । এইরূপে সে নিজ চক্ষে দেখিয়া, ও নিজ হাতে করিয়া, সমুদয় শিখিয়া ও বুঝিয়া লইল । তৎপরে সে যখন তত্ত্বাবধায়ক হইয়া বসিল, তখন তাহাকে