পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YON93 ধৰ্ম্মজীবন । প্ৰবঞ্চনা করা কাহারও সাধ্যে থাকিল না । ইহাকে চলিত ভাষায় বলে, হাতে কলমে শিখান । জগদীশ্বর এইরূপে মানব-জাতিকে হাতে কলমে শিখাইতেছেন । সমগ্ৰ মানব-জাতিকে যদি একটা মানুষের মত মনে করা যায়, এবং ঈশ্বরকে তাহার পিতা ভাবা যায়, তাহা হইলে দেখিতে পাই যে, যুগ যুগ ধরিয়া যেন এই ব্যাপার চলিতেছে। আদিম মানুষ নগ্ন ও পশু অপেক্ষাও হীন অবস্থাতে এ জগতে আসিয়াছিল ; এখনও মানব-সন্তান সেই অবস্থাতেই জগতে আসিতেছে। পশু অপেক্ষা হীন অবস্থা এইজন্য বলিতেছি, যে পশুর শাবকের মানব-শিশুর ন্যায় অসহায় নয় । গো মেষের শিশু জননীর গর্ভ হইতে পড়িয়া দুই দণ্ডের মধ্যেই উঠিয়া দাড়ায়, এবং তাহার শরীর চৰ্ম্মাবৃত থাকে, যদ্দ্বারা সে শীতাতপ সহ্য করিতে পারে । মানব-শিশু যখন জগতে আসে, তখন সম্পূর্ণরূপে আত্মরক্ষায় অসমর্থ। কিন্তু সেই নগ্নদেহ, অসহায় ও তাসমর্থ মানবই জগতকে বর্তমান অবস্থাতে আনিয়াছে। যে সকল শক্তি এক সময়ে মানবকে বিনাশ করিত, ও যাহাদের ভয়ে মানব সৰ্ব্বদা ভীত থাকিত, ও কত স্তুতি বন্দনা করিত, এক্ষণে তাহারাই মানবের আজ্ঞাবহ ভূত্য হইয়া রহিয়াছে। আমরা বালক কালে পুরাণে পড়িয়াছি, রাবণ রাজা ইন্দ্রকে ছত্রধর করিয়াছিলেন, যমকে দ্বারী করিয়াছিলেন, ও বরুণকে কারাগারে বদ্ধ রাখিয়াছিলেন। আজ দেখিতেছি মনুষ্যজাতিই সেই রাবণ রাজা, যে ইন্দ্ৰ, চন্দ্ৰ, বায়ু, বরুণ সকলকে শৃঙ্খলিত