পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর শিক্ষক । MONOMS করিয়া স্বীয় কার্স্যে লাগাইতেছে। এক সময়ে জলধি উত্তাল তরঙ্গ বিস্তার করিয়া মানবকে ভীত ও কম্পিত করিত, আজি মানব সেই তরঙ্গোপরি নৃত্য করিয়া বেড়াইতেছে ? এক সময়ে অগ্নি প্ৰবল জ্বালা বিস্তার করিয়া, মানবের ধন ধান্য ভস্মসাৎ করিত, আজি মানব সেই অগ্নিকে অশ্বের ন্যায় নিজ শকটে যুতিয়া টানাইয়া লইতেছে ! এক সময়ে গগনবিহারী তাড়িত বজ নিনাদে মানবকে কম্পিত করিয়া তাহকে হতচেতন ও ধরাশায়ী করিত, আজ মানব সেই তাড়িতের ডানা বাধিয়া আপনার গৃহ আলোকিত করিয়া লইতেছে ! সেই নগ্ন অসহায় ও বন্যাবস্থার মানব এতটা করিয়াছে ! দেখা ঈশ্বরের হাতে কলমে শিক্ষা দিবার কত গুণ। তিনি কি স্বীয় পুত্ৰকে স্বীয় বিষয় বিভব শক্তি সামর্থ্য সমুদয় বুঝাইয়া দিতেছেন না ? সকল জ্ঞানই ত অভিব্যক্তিমাত্ৰ-অৰ্থাৎ যাহা আছে তাহা প্ৰকাশ করা ও বুঝাইয়া দেওয়া মাত্র। কোনও জ্ঞানই নুতন সৃষ্টি নহে। মানুষের যে এত বিষয় বিভব, শক্তি সামর্থ্য, জ্ঞান বিজ্ঞান, তাহার এক কণাও বৃষ্টিধারার ন্যায়। উপর হইতে বষে নাই ; অথবা অপর কোনও জগত হইতে আসে নাই। জগৎ ও মানবাত্মা এই যে দুই খানি গ্ৰস্থ চিরদিন মানবের হাতের কাছে রহিয়াছে, ঐ সমুদয় কথাই এই দুইএর মধ্যে ছিল, কালে অভিব্যক্ত হইয়াছে এইমাত্ৰ। পিতা যেমন প্ৰাতে উঠিয়া পুত্ৰকে কেতাবের সম্মুখে “তুই পড়” বলিয়া, রসাইয়া দেন, তেমনি যেন জগৎ-পিতা সৃষ্টির প্রাতঃকালে মানব-জাতিকে “তুই পড়”