পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo o ধৰ্ম্মজীবন । যেমন ক্ষুদ্র পাইপ বা প্ৰণালী দিয়া গৃহস্থের ঘরে আনিতে হয়, তেমনি সেই অনন্ত পুরুষের অনন্তমুখীন স্বরূপকে আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে প্ৰকাশিত ভাবের দ্বারাই সাধন করিতে হয়। অতএব তিনি পিতাও বটে, মাতাও বটে, সখা ও বটে গুরুও বটে,-ইহার কোনও শব্দই তাহাতে খাটে না, অথচ সকলি তঁহতে খাটে । আমরা জগতের ইতিবৃত্তে দেখিতে পাই, র্তাহার স্বরূপের এক একটা দিক অবলম্বন করিয়া কেহ পিতৃ ভাবে, কেহ মাতৃ ভাবে, কেহ প্ৰভু ভাবে, কেহ সখা ভাবে, সাধন করিয়াছিলেন ও তা হাতে সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন । তাহার এক সময়ে সাধনার দ্বারা যাহা লাভ করিলেন, তাহাই সময়ান্তরে স্মৃতির আকারে নিবদ্ধ হইয়া মানবের ধৰ্ম্মসম্পত্তিরূপে পরিণত হইল। আজ যে তুমি আমি উন্নত ধৰ্ম্মজ্ঞানের উপরে দাড়াইয়াছি, তাহা ইহঁদেরই সাধনা ও সিদ্ধিলাভের ফল । এ জগতের ঋষি, শাস্ত্র ও গুরুগণ মানবের শিক্ষা প্ৰণালীর অন্তৰ্গত, এক মহাবিধানের অঙ্গস্বরূপ । এই চক্ষে মানব-ইতিবৃত্তকে দেখিলে কি এক মহাভাব আমাদের হৃদয়ে জাগে ! তখন বস্থিবিকই মন্ত্রপ্রণেতা ঋষিদিগের সহিত একবাক্য হইয়া বলিতে छेष्छ। कCद्र-- “ও পিতা নোহসি, পিতা নো বোধি” “তুমি আমাদের পিতা, আমাদিগকে পিতার ন্যায় জ্ঞান শিক্ষা দেও।” আবার বলি, সমগ্ৰ মানবজাতিকে একটি