পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মে রক্ষতি ধাৰ্ম্মিকং ॥ KOS), শাসনে রাখিবার জন্য ধৰ্ম্মান্ত্রের ন্যায় অস্ত্ৰ অার নাই । যিনি অকপটচিত্তে এজগতে ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিয়া চলিতে পারেন। তিনি নিরাপদ। ইতিবৃত্তে ইহার ভুরি ভুরি দৃস্টান্ত প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। ইংরাজ ও স্পেনীস প্রভূতি ইউরোপবাসী শ্বেতকায় খ্ৰীষ্ট-শিষ্যগণ যখন সৰ্বপ্রথমে বিদেশে গিয়া নবাবিষ্কৃত আমেরিকায় উপনিবেশ স্থাপনের চেন্টা করেন, সে সময়ের ইতিহাস পাঠ করিলে কি দেখিতে পাই ? এই সকল জাতি সেখানে গিয়াই শারীরিক বলের দ্বারা, অত্যাচার ও উৎপীড়নের দ্বারা, তত্ৰতা আদিম অধিবাসী দিগকে পরাজয় করিয়া আপনাদের অধিকার বিস্তার করিতে লাগিলেন ; রণে তাহাদিগকে পরাস্ত করিয়া তাহাদিগের ভূ-সম্পত্তি সকল হরণ করিলেন এবং পশুযুথের ন্যায় দলে দলে তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিতে লাগিলেন । তখন সেই সকল অত্যাচরিত অধিবাসিগণ কি করিল ? তাহারা স্বদেশ হইতে তাড়িত হইয়া বনে বনে বাস করিতে লাগিল বটে, কিন্তু ঐ সকল শ্বেতকায় জেতাদের প্ৰতি বিবিধ প্রকারে উপদ্রব করিতে আৱন্ত করিল। সুযোগ পাইলেই কোনও না কোন ও প্রকারে তাহদের প্রতি অত্যাচার করিত । ইহাদের রমণী দিগকে পথে ঘাটে পাইলে, হরণ করিয়া লইয়া যাইত ; অথবা দসু্যতা করিয়া ইহাদের সৰ্ব্বস্ব অপহরণ কিরিত । ঐ সকল বিজিত লোকের উপদ্রবে: ইহারা সুস্থির হইয়া বাস করিতে পারিতেন না। কিন্তু উইলিয়ম পেন নামক সুবিখ্যাত কোয়েকার সম্প্রদায়ভুক্ত