পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

και ο ধৰ্ম্মজীবন । ধাৰ্ম্মিক, ন্যায়পরায়ণ সত্যবাদী পুরুষ যখন সেখানে গিয়া সৌজন্য সদ্ভাব ও ন্যায়পরতার সহিত কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন, তখন সেই সকল আদিম অধিবাসীরাই তাহার বশীভুত হইল। এমন কি পেনকে তাহারা দেবতার ন্যায় পূজা করিতে লাগিল । তিনি তাহদের সহিত যে সন্ধিপত্র করিয়াছিলেন তাহা তাহার! কখনও ভঙ্গ করে নাই । তরবার যাহা করিতে পারে নাই, ধৰ্ম্ম ও সাধুতা তাহা করিয়াছিল । সুতরাং আমরা দেখিতেছি। কংফুচের কথা অতীব সত্য,-“বায়ুর গতির অগ্ৰে যেমন ক্ষেত্রের শস্য মস্তক অবনত করে, ধাৰ্ম্মিক রাজার সম্মুখে সেইরূপ প্ৰজা সকল ও মস্তক অবনত করে।” ধৰ্ম্মই ধাৰ্ম্মিককে রক্ষা করিয়া থাকে । দ্বিতীয়তঃ আমরা এই উক্তিকে আর এক ভাবে গ্ৰহণ করিতে পারি। তাহা এইঃ- এজগতে আমরা দুই শ্রেণীর মানুষ দেখিতে পাই। এক শ্রেণীর মানুষ আছে, তাহারা পার্থিব ও পাশবি বলের উপরে অধিক নির্ভর করে ; তাহারা ধন-বল, জন-বল ও বুদ্ধি-বলের উপরে নির্ভর করিয়া জগতে চলিতে চায়; তাহদের দৃষ্টি ধনের উপরে, সহায় সম্বলের উপরে এবং আপনাদের বুদ্ধির উপরে। কাহারও সহিত যদি বিবাদ আরম্ভ হয় তখন , তাহারা মনে করে,-“আমার এত টাকা আছে, আমি এত বড় ধনী, অমুক ব্যক্তি আমার সহিত বিবাদ করিয়া কি sর্বাচিবে ? আবার কেহ বা আপনার প্রখর মেধার উপরে নির্ভর করিয়া। তাহার বিপক্ষ ব্যক্তিকে শাসাইয়া বলে,-“কি হে