পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মে বৃক্ষতি ধাৰ্ম্মিকং ॥ 8 বাপু ! আমার সহিত শক্রিতা করিয়া তুমি কি তিষ্টিবে ? অামার বুদ্ধির সম্মুখে, আমার চক্রান্তের নিকট তুমি কি দাঁড়াইবে ?” কোনও দেশেই কোন ও সমাজেই এই ছুপ লোকের অপ্ৰতুল নাই। এই সকল লোক মুখের শেষ ; ইহারাই প্রকৃত ছোট লোক ! ধৰ্ম্মের উপরে বিশ্বাস রাখিবার শক্তি ইহাদের হয় না । যাহারা বাইবেল গ্ৰন্থ পাঠ করিয়াছেন তাহারা সকলেই জানেন যে যীশুর মৃত্যুর পরে তাহার শিষ্য ষ্টিফেন যখন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন য়িহুদিগণ ইষ্টক ও প্ৰস্তর নিক্ষেপ করিয়া তাহাকে হত্যা করিল । তাহার পাশবি বলের দ্বারা ধাৰ্ম্মিকের ধৰ্ম্মবিশ্বাসকে নষ্ট করিতে চাহিল । কিন্তু কালে ষ্টিফেনেরই মত জগতে প্ৰবল হইল । মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় যখন সৰ্ব্বপ্রথমে এদেশে ব্ৰহ্মোপাসনা প্ৰচলিত করিবার চেন্টা করেন তখন তিনি ‘ব্ৰহ্মসভা” নামে এক সভা স্থাপন করেন। তখন ইহার সভ্য সংখ্যা অতি অল্প ছিল। কলিকাতার ধনিগণ সকলে একত্ৰ হইয়া এই নব-প্রতিষ্ঠিত সভাকে বিনাশ করিবার জন্য ‘ধৰ্ম্মসভা” নামে এক সভা স্থাপন করিলেন । কলিকাতার অধিকাংশ ধনী এই সভাতে যোগ দিয়াছিলেন, তাহারা চাদ করিয়া প্ৰায় এক লক্ষ টাকা সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । এই সভা হইতে একখানি সংবাদ পত্ৰ প্ৰকাশিত হইয়াছিল, তাহাতে কেবল রামমোহন রায়ের কুৎসা এবং নিন্দ বাহির হইত। আমি রাজার সম-সাময়িক কোনও এক জন বুদ্ধের মুখে শুনিয়াছি