পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাজক্ষাই ধৰ্ম্মজীবন । t না, লোকের বিষয়াসক্তিকে খর্ব করিয়া বাকুলতাকে উদ্দীপ্ত করিতে পারে না, তাহা আপনার মহৎ কাৰ্য হইতে ভ্ৰষ্ট দ্য ইয়াছে। সে যাহা হউক, অনেক সময়ে দেখা যায়, যে শুভ মুহুর্তে আকাঙক্ষার অগ্নি হৃদয়ে প্ৰজ্বলিত হইয়া ও সঙ্গ-দোষে অ্যাবার নির্কিবাণী হইয়া যায় । তৃতীয়তঃ, কৰ্ম্মবঙ্গন অনেকের হৃদয়স্থ আকাঙক্ষার অগ্নিকে নির্ববাণ করিবার পক্ষে সহায়তা করিয়া থাকে । সকল সম্প্রদায় মধ্যেই পৰ্ম্মসাধনের কতকগুলি প্ৰণালী ও ক্রিয়া নির্দিাদৰী হইয়াছে । যাহার। প্ৰথমে তাহা নির্দেশ করিয়াছিলেন, তাহদের উদ্দেশ্য অতি মহৎ ছিল । সাধকদিগের ধৰ্ম্মজীবনকে পোষণ করাই তেঁহাদের অভিপ্ৰায় ছিল । কিন্তু মানব-প্ৰকৃতির একটা নিয়ম এই যে, যে কাৰ্য। অভ্যাস প্ৰাপ্ত হয় তাহ। একদিকে যেমন অল্পায়াস সাধ হইতে থাকে, অপর দিকে তেমনি তদন্তরস্থ হৃদয়ের ভাবের তীব্ৰতা হ্রাস হইতে থাকে। তুমি যদি আজ নিয়ম কর যে প্রতিদিন প্ৰাতে অল্প গ্ৰহণ করিবার পূৰ্ব্বে দীনজনাদিগকে কিছু দান করিবে, তাহা হইলে কিছু দিনের মধ্যেই দেখিতে পাইবে যে দান কাৰ্যাটী তোমার অল্পায়াস-সাধ হইয়া যাইতেছে কিন্তু হৃদয়ে দয়ার আবেগ মন্দীভুত হইতেছে। তৎপরে কার্সাটী প্ৰতিদিন চলিবে কিন্তু হৃদয়ে দয়ার সেরূপ সতেজ ও তীব্ৰ ভাব থাকিবে না । ধৰ্ম্ম সাধন সম্বন্ধেও এইরূপ । যখন কতকগুলি সাধনের নিয়ম প্ৰবৰ্ত্তিত হয়, এখং মানুষ প্ৰতিদিন তাহ পালন করিতে থাকে,