পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর হৃদয়ে । ዓ ዓ দ্বিতীয় অবতারবাদ । এই মত বলে, ঈশ্বর বিশেষ দেশে ও বিশেষ কালে মানবকুলে অবতীর্ণ হইয়। আপনার লীলা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। দেশীয় প্রাচীন শাস্ত্ৰে বলে, ঈশ্বর ভূভার হরণের নিমিত্তে, দৈত্যকুলের বিনাশ সাধনের নিমিত্তে, অবতারত্ত্ব স্বীকার করিয়া থাকেন ! গীতাতে আছে ঃ — পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কতাং । ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভব।ামি যুগে যুগে । অর্থ- “সাধুদিগের পরিত্রাণ ও দুষ্কাৰ্য্যকারীদিগের বিনাশের নিনিত্ত, ও ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের নিমিত্ত, আমি যুগে যুগে জন্মিয় থাকি।” অবতারত্ব গ্রহণের যে মুখ্য উদ্দেশ্য তৎসম্বন্ধে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের ভাব প্ৰাচীন হিন্দুধৰ্ম্মের ভাব অপেক্ষ উৎকৃষ্টতর বোধ হয়। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম বলেন, পাপীদিগের উদ্ধারের জন্যই ভগবানের অবতারত্ব গ্রহণ। পাপভারাক্রান্ত মানবকুল তাহার অভিমুখে উঠিতে অক্ষম, এই কারণে তিনি স্বয়ং অবনত হইয়া, আপনার মহিমাকে আংশিক রূপে গোপন করিয়া, মনুষ্যরূপ ধারণা করিলেন, ও মানবকে উঠিবার পথ দেখাইয়া দিলেন। কিন্তু অবতার কল্পনার মুখ্য ও মুল ভাব যাহাই হউক, ইহাতেও ঈশ্বরকে পিপাসু মানব-হৃদয় হইতে দূরে লইয়া গিয়াছে। ব্যাকুল ও পিপাসু আত্মা তাহাকে দেখিবার জন্য ব্যগ্ৰ, তুমি তাহাকে বলিলে, ঈশ্বর তিন সহস্ৰ বৎসর পূর্বে বৃন্দাবনে, বা দুই সহস্ৰ বৎসর পূর্বে যুডিয়া দেশে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। তাহাতে তাহার লাভ কি ? তাহা কি তাহার পক্ষে ঈশ্বর