পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byYSq क्षई-चौदन। হইতেছে, তিনি যেন সৃষ্টির কয়েক দিনের শ্রমের পর অনন্ত বিশ্রাম সুখ ভোগ করিতেছেন । জগতের সহিত ঈশ্বরের এই পরোক্ষ সম্বন্ধের ভাব বিগত শতাব্দীর মধ্য ভাগ হইতে বর্তমান শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্সান্ত ফ্রান্স ও ইংলেণ্ডে প্ৰবল হইয়াছিল । এক্ষণে এ বিষয়ে পরিবর্তন দৃষ্ট হইতেছে। ঈশ্বর জড়ে ও চেতনে ওতপ্রোত ভাবে বাস করিতেছেন, এই ভাব প্ৰতীচ্যদেশীয় দার্শনিকদিগের ও মনে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছে । গীত। পূৰ্ব্বোত্তৰ বিজ্ঞানিলন্ধ ভাবের প্রতিবাদ করিয়া বলিতেছেন ঃ ভ্ৰামায়ন সৰ্ব্বভুতানি যন্ত্রারূঢ়ানি মায়য়া । অর্থাৎ ঈশ্বর নিজ শক্তির দ্বার! সকল প্ৰাণীকে যন্ত্রারূঢ়ব ২ চালাইতেছেন । জড়রাজ্যে বা প্রাণিরাজ্যে যে কিছু শক্তির ক্রীড়া দেখা যাইতেছে, যে সকল শক্তি কোথা ও বা ভাঙ্গিতেছে কোথা ও বা গড়িতেছে, সে সমুদায় শক্তি তাহারই শক্তি, তঁহারই ইচ্ছার প্রকাশ ; ও সকল ক্রীড়। তাহারই ক্রীড়া । তিনি সকলের মধ্যেই, তিনি নিরন্তর আমাদের নিকটে, তিনি আমাদের হৃদয়ে, এই ভােব ধারণা করিলেই প্ৰেম চরিতা হাঁ হয় এবং ধৰ্ম্মজীবন জন্মগ্রহণ করে । তিনি আমাদের হৃদয়ে আছেন এবং আমাদের সুখ দুঃখ অবগত হইতেছেন, ইহা ভাল করিয়া হৃদয়ে ধারণা করিতে পারিলে, অনিবার্স্যরূপে আমাদের জীবনে পরিবর্তন ঘটিয়া থাকে। কারণ, এই বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গেই হৃদয়ে