পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর হৃদয়ে । gy) প্ৰকৃতির বহির্ভাগে সর্বদাই নানাপ্রকার বায়ু প্ৰবাহিত সুতরাং সেখানে তরঙ্গ উঠিতেছে, ভাব রাশি আন্দোলিত হইতেছে, সুখ দুঃখ, হৰ্ম বিষাদ দেখা দিতেছে, আবার দুই দিন পরে অন্তহিত হইতেছে । কিন্তু হৃদয়ের অন্তস্তলে অপরবিধ চিস্তা, অপরবিধ সুখ বা দুঃখ বাস করিতেছে। যাহা মানবদৃষ্টির অগোচর। ঈশ্বর যদি বাহিরে তবে এই সুখ দুঃখের সাক্ষী কে ? তাহাকে এই সুখ দুঃখের সাক্ষী ও এই নিৰ্জন জীবন-সংগ্রামের আশ্রয়দাতাররূপে না দেখিলে, হৃদয় কখনই তাহাতে প্রীতি স্থাপন করিতে পারে না । অতএব পৌত্তলিকতা প্ৰকৃত আধাত্মিক ধৰ্ম্মের বিরোধী ! চতুর্থতঃ, বৰ্তমান বিজ্ঞানের একটী ভাব আছে যাহাতে ঈশ্বরকে দূরে ফেলে । সে ভাবটী এই, ঈশ্বর সৃষ্টির আদিতে জগৎ রচনা করিয়া কতকগুলি শক্তি ও কতকগুলি নিয়ম স্থাপন করিয়াছেন, এখন তদনুসারেই ব্ৰহ্মাণ্ডের সকল কাৰ্য্যা চলিতেছে। এখন আর ব্ৰহ্মাণ্ডের কাৰ্য্য-কলাপের উপরে তাহার কোন ও হাত নাই । এখন কতকগুলি নিয়মাধীন থাকিয়া কতকগুলি অঙ্গ শক্তি ব্ৰহ্মাণ্ডের কাৰ্য্য চালাইতেছে । এই মতে বলে, ঈশ্বর বলিয়। যদি এক জন কেহ থাকেন, তাহার সহিত জগতের কার্স্যের সাক্ষাৎ, সম্বন্ধ নাই ; তিনি এক দুলঙ্ঘ্যি কার্সকারণ-শৃঙ্খলে জগতকে বাধিয়া নিজে সেই শৃঙ্খলের অপর পার্শ্বে রহিয়াছেন। ব্ৰহ্মাণ্ডের কুত্ৰাপি, নূতন সৃষ্টি দেখা যাইতেছে না ; সর্বত্রই এক বিবৰ্ত্তন-প্রক্রিয়া ; সুতরাং বোধ w