পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ከሦህ‛ खोदन । জানিতেন, যে তাহার রচিত সাম্রাজ্য তঁহারই জীবদ্দশায়, তঁহারই চক্ষের সমক্ষে, চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া যাইবে ? মহাবীর আলেকজাণ্ডার যখন দেশের পর দেশ জয় করিয়া, অবশেষে আর জয় করিবার কিছু নাই বলিয়া দুঃখ করিয়াছিলেন, তখন কি জানিতেন অল্পকাল মধ্যে র্তাহার সঞ্চিত শ্ৰীসম্পদ বিনষ্ট হইবে ও তাহার রাজ্য খণ্ড খণ্ড হইয়া যাইবে ? এই সকল প্ৰতাপশালী সমাট তাহা চিন্তা করেন নাই । তাহারা সঙ্গীয় স্বীয় বল দৰ্পের উপরে আশার ভিত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন । মনে ভাবিয়াছিলেন যাহা বলের দ্বারা উপাৰ্জন করিতেছি। তাহা বলের দ্বারাই রক্ষা করিব । কেবল যে মহতেরাই এ জগতে এরূপ আচরণ করিয়াছেন তাহা নহে, ক্ষুদ্র মহৎ সকলেই এই মহামোহে নিমগ্ন । এ জগতে মানুষ যেন সময়সিন্ধুর কুলে বসিয়া ধূলাখেলা করিতেছে। একদিন সায়ংকালে সমুদ্রের বেলাভূমিতে বেড়াইতে গিয়া দেখি কয়েকটা শিশু বালুকারাশির উপরে বসিয়া খেলার ঘর বাধিতেছে ; দুই হস্ত জমি ঘিরিয়া লইয়া বালুকারাশি তুলিয়া, প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া, সেই ভুমি-খণ্ডকে আবদ্ধ করিয়াছে; সেই ভুমি-খণ্ডের মধ্যে তাহদের অন্তঃপুর, বহিঃপুর, শয়ন গৃহ, বৈঠকখানা, পাকশালা প্রভৃতি সমুদায় করিয়াছে। তাহারা এমনি মনোযোগের সহিত সেই কাৰ্যো রত আছে, যেন তাহদের আর অন্য কাজ নাই, এবং তাহারা চির দিনই ঐ কাৰ্য্য করিবে । যাহা ভাউক, ক্ৰমে রজনীর অন্ধকার সমাগত হইলে, শিশুগণ