পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরে আশা স্থাপন কর । কুরু ও পাণ্ডব উভয় পক্ষের শিবিরে গতায়াত আরম্ভ করিলেন । কিন্তু তাহার সকল প্ৰয়াস যখন বিফল হইল, যখন কোনও ক্রমেই সন্ধিস্থাপনে সমর্থ হইলেন না, তখন তিনি এক কৌশল উদ্ভাবন করিলেন। নিজে একদিকে ও নিজের নারায়ণী সেনা আর একদিকে রাখিয়া দুৰ্য্যোধনকে বলিলেন, হয় আমাকে লও, না হয় আমার সেনা লাও । স্কুলমতি দুৰ্য্যোধন ভাবিলেন, এক কৃষ্ণকে লইয়া কি হইবে, এক বাণের আঘাতেই নিহত হইতে পারেন, কৃষ্ণ-সেনাই লওয়া ভাল, এতগুলি যোদ্ধা পাওয়া যাইবে । অতএব দুৰ্যোধন কৃষ্ণকে ছাড়িয়া কৃষ্ণ-সেনাই লইতে চাহিলেন । ইহাতে পাণ্ডবগণ দুঃখিত না হইয়া বরং আনন্দিত হইলেন। তাহার। বলিলেন, হে কৃষ্ণ ! তুমি আমাদেরই থাক । কৃষ্ণ পাণ্ডব পক্ষে গমন করিলেন। প্ৰজাগণ চতুর্দিকে दक्लिड, व्ल क्रि†व्ल ६ “জয়োস্তু পাণ্ডুপুত্ৰাণাং যেষাং পক্ষে জনাৰ্দনঃ।” অর্থ- পাণ্ডুপুত্ৰগণেরই জয়, স্বয়ং জনাৰ্দন যে পক্ষে আছেন। মহাভারতকার হস্তিনবাসী প্ৰজাগণের মুখে যে ভাষা দিয়াছেন, তাহা বিশ্বাসী মাত্রেরই হৃদয়ের কথা । স্বয়ং ভগবান যে পক্ষে সে পক্ষের জয় অনিবাৰ্য । জনসমাজে, এমন কি ধৰ্ম্মসমাজেও, দুৰ্য্যোধনের অপ্রতুল নাই। ধৰ্ম্মরাজ্যে ও এরূপ লোক অনেক দেখিতে পাওয়া যায়, যাহাদের আশা পার্থিব বলের উপরে স্থাপিত। বাহিরের স্কুল স্থল বিষয় সকলের উপর তাহদের যেরূপ দৃষ্টি, সূক্ষম আধ্যাত্মিক