পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরে আশা স্থাপন কর । SN) গুলি ধীবর লইয়া তাহাদিগের কি করিতে পারে ? বিশ্বাস, প্ৰেম, বৈরাগ্য প্রভূভির শক্তি কত তাহা তাহারা অনুভব করিতে পারে নাই । বৰ্ত্তমান সময়েও আমরা ইহার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত প্ৰাপ্ত হইয়াছি । মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় যখন সৰ্ব্বপ্রথমে ব্ৰাহ্মসমাজ স্থাপন করেন, তখন এই কলিকাতা সহরে তাহাকে দমন করিবার নিমিত্তে ধৰ্ম্মসভা নামে একটা প্ৰকাশ্য সভা স্থাপিত হইয়াছিল । সহরের ধনী, মানী, গণ্য মান্য ব্যক্তিগণ সকলেই এই সভার সভ্যপদবীতে সন্নিবিষ্ট হইয়াছিলেন ; এবং সভার কার্য চালাইবার জন্য লক্ষাধিক মুদ্র স্বাক্ষরিত হইয়াছিল । সভার উদ্যোগকারিগণ সভার দিনে যখন সহরের বড় বড় লোকদিগকে সভাস্থলে দেখিতেন, এবং রাজপথে দণ্ডায়মান শকটশ্রেণীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেন, তখন বলিতেন “কোথায় লাগে রামমোহন রায়ের ব্ৰহ্মসভা, রমণীরা বৃদ্ধিাঙ্গুষ্ঠের টিপ দিয়া যেমন পুটী মাছের পিত্ত গালিয়া বাহির করে, তেমনি রামমোহন রায়ের সভার পিত্ত গালিয়া বাহির করিব ।’ ওদিকে রামমোহন রায় কতিপয় বন্ধু সমভাব্যাহারে একটা ক্ষুদ্র গৃহে বসিয়া পরব্রহ্মের উপাসনা করিতেন । ধন্যবল জনবল তাহার কিছুই ছিল না। অথচ তাহার অবলম্বিত পথ দিন দিন অধিক প্ৰশস্ত হইয়া উঠিল। প্ৰাচীন সমাজের সম্মিলিত শক্তি ইহাকে বিনষ্ট করিতে পারিল না । এই সময় রামমোহন রায়ের ভাব পূর্বোক্ত ভাবের কিরূপ বিপরীত ছিল। তিনি কি আপনার