अथावा, गमन, निषिाजन्म । ot তঁহাদের উদ্দেশ্য এই যে তদ্বিারা মানুষের মননশক্তির বিকাশ হইবে। মানুষ বিচার পূর্বক নিজ জ্ঞানের সহিত মিলাইয়। দেখিবে, সাধন দ্বারা উপদিষ্ট তত্ত্ব সকলকে পরীক্ষা করিবে। আমরা কেবল মাত্র গ্রন্থ অধ্যয়ন করিয়া পণ্ডিত মুর্থ হইয়া। বসিয়া থাকিব, ইহা জানিলে তঁহার এত শাস্ত্ৰ প্ৰণয়নের ক্লেশ৷ স্বীকার করিতেন না । প্ৰায় প্রত্যেক সভ্য দেশেই মহানগরী মাত্রেরই বর্ণনা পুস্তক, ( Guide Book ) পাওয়া যায়। যাহারা অনেক ক্লেশ স্বীকার পূর্বক ঐ সকল গাইড-বুক প্রণয়ন করিয়াছেন, তাহদের উদ্দেশ্য কি এই যে তুমি আমি কলিকাতা সহরে নিজ নিজ গৃহের কোণে বসিয়া সেই সকল গাইড-বুক মুখস্থ করিব ? ঘরের কোণে বসিয়া আগরাতে তাজমহল আছে, দিল্লীতে জুম্মামসজিদ আছে, এই কথা কেবল বলিব ? তাহা নহে। যাহারা পৰ্যটক তাহদের জন্য যেমন গাইড বুক, যাহারা সাধক তাহদের জন্যই শাস্ত্ৰ অংবা গুরূপদেশ। সাধু সঙ্গের মহোপকার এই যে তদ্বিারা মানবের মনন শক্তির বিকাশ করে। যেখানে সাধুসঙ্গ মনন শক্তিকে না বাড়াইয়া মানুষকে বিচার বিমুখ করে, সেখানে মানবের অধোগতির দ্বার উন্মুক্ত হয়। সৰ্ব্ববিধ জ্ঞান বিষয়ে সেই সকল গুরুরই প্ৰশংসা শুনিতে পাই, যাহারা শিষ্যদিগকে মানুষ করিয়া দিয়া গিয়াছেন, অর্থাৎ স্বাধীনচেতা, বিচারশীল, সাধন-পরায়ণ ও সত্যানুরাগী করিয়া দিয়া গিয়াছেন। আর যেখানে সাধু সঙ্গের ফল। এই দেখি যে বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ শিশুর ন্যায় অসহায় ও পরমুখাপেক্ষী হুইতেছে, সেখানে বলিতে হইবে, শ্রবণ আছে, মনন
