অস্তীতি ব্রুিবতোহ্যত্র কথং তদুপলভ্যতে । R> দৃষ্টান্ত প্ৰত্যক্ষ করিতেছি। এক জনের প্রতি অপর একজনের প্ৰেম চিরদিন বিদ্যমান আছে, অথচ সে তাহ দেখিতে পায় না । তাহার নিজের হৃদয় প্ৰেম বিহীন বলিয় তাহার প্ৰেম দেখিবার চক্ষু নাই। সে চক্ষু থাকিতে অন্ধ হইয়া রহিয়াছে সে যদি বলিত,-ওই আমার আমার জন্য প্রেম রহিয়াছে ; তাহা হইলে সে প্রেমের পক্তি অনুভব করিতে পারিত। এখন দেখিতেছি না, কিন্তু যে দিন বলিবে—ওই যে আমার প্ৰেম অপেক্ষা করিতেছে ; সেই দিন দেখিবে ও তাহার শক্তি sfact Moncure I), Conway stats 783rfi's Sacred Anthology” নামক গ্রন্থে চীনদেশীয় একটী সুন্দর আখ্যায়িক উদ্ধত করিয়াছেন, দৃষ্টান্তস্বরূপ তাহার উল্লেখ করা যাইতে পারে। সে আখ্যায়িকাটী এই :- এক ধনী গৃহস্থের একমাত্র পুত্র ছিল। পিতা মাতা শৈশব হইতে অতিশয় আদর দিতেন। সে যখন যে বাসনা করিত তাহা পূৰ্ণ করিতে কালবিলম্ব করিতেন না। এইরূপে সে বালক অত্যন্ত স্বেচ্ছাচারী হইয়া উঠিল। এ জগতে যে নিজ ইচ্ছাকে সংযত করিয়া চলিতে হয়, এ শিক্ষা আর তাহার হইল না । বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সে যথেচ্ছাচারী হইয়া পড়িল। কুসঙ্গিদিগের প্ররোচনায় সর্বদাই বিবিধ দুস্ক্রিয়াতে লিপ্ত হইত। জনক জননী যে কি প্রকার ভগ্ন-হৃদয় হইয়া রহিয়াছেন তাহা একবার চিন্তা ও কারিত না । এইরূপে কিছুকাল যায়, অবশেষে সেই দুৰ্বত্ত যুবকের দৌরাত্ম্য এতই বৰ্দ্ধিত হইল যে, জ্ঞাতি কুটুম্ব প্রতিবেশী সকলে উত্যক্ত হইয়া উঠিল। একদিন সকলে
